করোনা সংক্রমণের আবহে রাম মন্দির (ram janmbhumi temple) তৈরি নিয়ে মোদি সরকারের (modi government) বিরুদ্ধে বারবার প্রশ্ন তুলেছিল বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য ছিল করোনার আবহে যখন অর্থনীতি তলানিতে সেই সময়ে কিভাবে রাম মন্দির তৈরি হতে পারে। এবার এই বিতর্কে জল ঢাললেন রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই।
চম্পত জানিয়েছেন , দেশজুড়ে সাধারণ মানুষের চাঁদায় তৈরি করা হবে রাম মন্দির। এর জন্য সরকারের কাছ থেকে এক টাকাও নেওয়া হবে না। দানের টাকা সংগ্রহ করতে সারা ভারত ঘুরবেন ট্রাস্টের সদস্যরা। সংগৃহীত টাকা থেকেই তৈরি হবে মন্দির।
রাই আরো দাবি করেন, রাম মন্দির নির্মাণে টাকার অভাব হবে না। ১০ টাকা থেকে শুরু করে নানান অর্থমূল্যের কূপন ছাপানো হয়েছে। ট্রাস্টের কর্মীদের হাতে টাকা দিলেই দেওয়া হবে কুপন। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এর সাথে যৌথ উদ্যোগে এই কর্মযজ্ঞ শুরু হবে মকর সংক্রান্তিতে। শেষ হবে মাঘী পূর্ণিমায়।
প্রসঙ্গত, ৬০ মিটার পর্যন্ত রাম মন্দিরের পাইলিং ফাউণ্ডেশন থাকবে। ১২০০ পাইলিং সিমেন্ত, পাথর আর রড দিয়ে তৈরি হবে। এগুলো সমুদ্র অথবা নদীতে যেমন ভাবে স্তম্ভ বানানো হয়, ঠিক তেমন ভাবেই হবে কিন্তু এতে স্টিলের প্রয়োগ হবে না।
রাম মন্দিরের সুরক্ষা সরকারের দায়িত্বে থাকবে। এটি একটি বিশ্বস্তরীয় কেন্দ্র হতে চলেছে, তাই এর সুরক্ষাও বিশ্বস্তরীয় হওয়ার দরকার। যেহেতু এটি বিশ্বস্তরীয় প্রোজেক্ট, সেহেতু সংবেদনশীলতার কথা মাথায় রেখে বেসরকারি সুরক্ষা এজেন্সি গুলোকে এর সুরক্ষা দায়িত্ব দেওয়া যাবে না। রাম মন্দিরের সুরক্ষা সরকার নিজের হাতে রাখবে। এতে ট্রাস্ট কোন হস্তক্ষেপ করবে না।