দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা না ঢুকলেও বানভাসি উত্তরবঙ্গ, আলিপুরদুয়ারে ডাঙ্গা-নদীর ফারাক বোঝা দায়!

বাংলাহান্ট ডেস্ক : সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো ঠিকমতো বর্ষা প্রবেশ করেনি দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal)। কিন্তু বর্ষার দাপটে রীতিমতো “ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি” অবস্থা উত্তরবঙ্গের (North Bengal)। কিছুদিন ধরে প্রবল বর্ষণে বানভাসি উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলা। বিভিন্ন নদীগুলির জলস্তর ইতিমধ্যেই বাড়তে শুরু করেছে। তোর্সার পর তিস্তা, জলঢাকায় জারি করা হলো হলুদ সতর্কতা। এর মধ্যে আলিপুরদুয়ারের অবস্থাও ভয়াবহ। ইতিমধ্যে রাস্তায় যাতায়াতের জন্য নেমেছে নৌকা।

আলিপুরদুয়ার পুরসভার পক্ষ থেকে ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে দুটি নৌকা নামানো হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। এখনো পর্যন্ত প্রায় ৪০০ টি পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সম্পূর্ণ এলাকা জলের নিচে চলে যাওয়ায় সমস্যা হচ্ছে সাধারণ মানুষের। এরই মধ্যে কালজানি নদীতে বাঁধের জল মিশে যাওয়ায় সমস্যা আরো বেড়েছে।

ইতিমধ্যেই পুরসভা বিভিন্ন ত্রাণশিবির আরম্ভ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। যদিও বহু মানুষ তাদের নিজস্ব আশ্রয়ে ছেড়ে যেতে অস্বীকার করেছেন। কেউ কেউ আবার নিজের শেষ সম্বল টুকু নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বাঁধের উপর। পরিস্থিতির ভয়াবহতা স্বীকার করে নিয়েছেন কাউন্সিলর। যে বাঁধের উপর অনেকে আশ্রয় নিয়েছেন সেই বাঁধ অস্থায়ী। তাঁবু খাটিয়ে অনেকে বসবাস করলেও পর্যাপ্ত ত্রাণ এখনো মেলেনি বলেই অভিযোগ। এর ফলে ক্ষোভ বাড়ছে এলাকাবাসীর মনে।

jpg 20220618 165740 0000

অন্যদিকে ১১ নম্বর ওয়ার্ডের চর এলাকার বাসিন্দারা জমা জলে গৃহবন্দি হয়ে পড়েছেন। বেশ কিছু জনকে নিরাপদ বাঁধে নিয়ে আসা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। কালজানি নদীতে জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। পর্যাপ্ত ত্রাণ ও জল নিকাশি ব্যবস্থা না থাকার জন্য ক্ষোভ বাড়ছে স্থানীয়দের মনে। এক স্থানীয় বাসিন্দার বক্তব্য, “পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর। চারদিকে জল। নদী আর রাস্তার মধ্যে কোন ফারাক নেই কিন্তু প্রশাসন তা মোকাবিলা করতে ব্যর্থ”।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর