বাংলা হান্ট ডেস্ক: গত পাঁচটি মনিটরি পলিসির বৈঠকে, মুদ্রাস্ফীতি (Inflation) নিয়ন্ত্রণে রেপো রেট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (Reserve Bank Of India, RBI)। যার ফলস্বরূপ খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার ২০২২ সালের এপ্রিলে ৭.৭৯ শতাংশ থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ৫.৭২ শতাংশে নেমে এসেছে। এমতাবস্থায়, মুদ্রাস্ফীতির হার কমে যাওয়ায় RBI এখন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে। শুধু তাই নয়, RBI তার মাসিক বুলেটিনে জানিয়েছে যে, খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার ৬ শতাংশে নেমে আসার পরে মনিটরি পলিসি কমিটি তার প্রথম মাইলফলক স্পর্শ করেছে।
এই প্রসঙ্গে ২০২৩-এর জানুয়ারি মাসে জারি করা বুলেটিনে RBI বলেছে, ভারতীয় অর্থনীতির ম্যাক্রোইকোনমিক স্টেবিলিটির ক্ষেত্রে উন্নতি ঘটেছে। পাশাপাশি, মুদ্রাস্ফীতির হার RBI-এর টলারেন্স ব্যান্ডের মধ্যেও চলে এসেছে। শুধু তাই নয়, পরিসংখ্যানগুলি থেকে অনুমান করা হচ্ছে যে, চলতি হিসাবের ঘাটতিও কমতে পারে।
এদিকে, RBI তার বুলেটিনে বলেছে, সাম্প্রতিক তথ্য থেকে এটা স্পষ্ট যে RBI-এর মনিটরি পলিসি মুদ্রাস্ফীতিকে টলারেন্স ব্যান্ডের মধ্যে এনে তার প্রথম লক্ষ্য অতিক্রম করেছে। এমতাবস্থায়, RBI-এর লক্ষ্য হল ২০২৩ সালে অর্থাৎ চলতি বছরে মুদ্রাস্ফীতি কিভাবে আরও কমানো যায় যাতে ২০২৪ সালের মুদ্রাস্ফীতির জন্য লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হয়।
এমতাবস্থায়, RBI-এর বুলেটিন মারফত এই তথ্যগুলি থেকে স্বস্তি পাওয়া যেতে পারে। কারণ আগামী ফেব্রুয়ারি মাসেই RBI-এর মনিটারি পলিসি কমিটির বৈঠক হতে চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে অনুমান করা হচ্ছে যে, RBI পলিসি রেটে কোনো পরিবর্তন করবে না। যার ফলে পলিসি রেট অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ২০২২-এর এপ্রিল মাসে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার ৭.৭৯ শতাংশে পৌঁছেছিল। যার জেরে RBI মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে পাঁচ দফার মনিটরি পলিসির বৈঠকে রেপো রেট বাড়িয়েছিল। এমতাবস্থায়, রেপো রেট ৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬.২৫ শতাংশ হয়েছে। এদিকে, এর ফলে ঋণ আরও ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি, দামি হয়ে উঠেছে EMI-ও। তাই, এমন পরিস্থিতিতে অনুমান করা হচ্ছে যে, ব্যয়বহুল ঋণের প্রক্রিয়া এখানেই থেমে যেতে পারে।