বাংলাহান্ট ডেস্ক : এই মুহুর্তে কেষ্টর অস্ত্রোপচারের কোনও প্রয়োজন নেই। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন আসানসোল জেলা হাসপাতালের সুপার নিখিলচন্দ্র দাস। বৃহস্পতিবার প্রায় এক ঘণ্টা ধরে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। তারপর হাসপাতাল থেকে অনুব্রতকে নিয়ে যাওয়া হয় আসানসোল সংশোধনাগারের হাসপাতালে।
বৃহস্পতিবার হাসপাতাল থেকে অনুব্রতকে জেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর, তাঁর স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে হাসপাতালের সুপার মুখ খোলেন। তিনি বলেন, ‘হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ওঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়েছে। তার পর সেখানকার চিকিৎসকরা মেডিসিন এবং শল্যচিকিৎসকের মতামত নিতে চেয়েছিলেন। তাঁরা জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্রোপচারের কোনও প্রয়োজন নেই। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এবং শল্যচিকিৎসকরা ওঁকে পরীক্ষা করেছেন।’
প্রসঙ্গত, বুধবার অনুব্রতকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক। পাশাপাশি তাঁকে জেলে সব রকম ওষুধ এবং শ্বাসকষ্ট প্রশমনের যন্ত্রও নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। এরই সঙ্গে ৪৮ ঘণ্টা অন্তর তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করানোর নির্দেশ দেন বিচারক। সেই অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা নাগাদ আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় অনুব্রতকে। অনুব্রতর ফিসচুলার সমস্যা রয়েছে। বৃহস্পতিবার হাসপাতালের চিকিৎসকরা তা পরীক্ষা করে দেখেন। তাঁর রক্তচাপ পরীক্ষা করা হয়। এ ছাড়া ইউসিজি-সহ আরও কয়েকটি পরীক্ষা করা হয়। তবে তাঁর কোনও প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা হয়নি বলেই জানান হাসপাতাল সুপার। বেলা ১২টার পর হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়া হয় অনুব্রতকে।
বৃহস্পতিবার আসানসোল সংশোধনাগার থেকে এসবি গড়াই রোড ধরে প্রায় দু’কিলোমিটার দূরে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় অনুব্রতকে। রাস্তা জুড়ে পুলিশি তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। এর মাঝেই হাসপাতাল চত্বরে অনুব্রতকে লক্ষ্য করে ‘গরু চোর’ স্লোগানও ওঠে। অনুব্রতর অনুগামীরাও বৃহস্পতিবার ভিড় করেন হাসপাতাল চত্বরে। তাঁদের আদরের ‘কেষ্ট’দার জন্য জামাকাপড় নিয়ে এসেছিলেন তাঁরা।