সারা বিশ্বে এই মুহুর্তে আরো একবার কাঁপুনি ধরিয়েছে করোনা ভাইরাস (corona virus)। অভিযোজিত হয়ে নতুন রূপে লন্ডন (london) সহ গোটা ব্রিটেনে হানা দিয়েছে করোনার নতুন স্ট্রেন। ইতিমধ্যেই নতুন করে লকডাউন শুরু হয়েছে গোটা ব্রিটেন জুড়ে।
তবে করোনার নতুন স্ট্রেন নিয়ে আশার কথা শুনিয়েছেন AIIMS-এর ডিরেক্টর ও কোভিড টাস্ক ফোর্সের সদস্য চিকিত্সক রণদীপ গুলেরিয়া। তার মতে করোনা ভাইরাসের নতুন স্ট্রেন নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার তেমন কোনো কারন নেই। প্রতিমাসেই দুবার করে বদলে যাচ্ছে করোনা ভাইরাস। তবে তার উপসর্গের বদল ঘটছে খুবই কম। একই সাথে বদলাচ্ছে না চিকিৎসা পদ্ধতিরও। পাশাপাশি ট্রায়ালে থাকা ভ্যাকসিনগুলি অভিযোজিত ভাইরাসের ক্ষেত্রেও কার্যকর হবে।
যদিও অভিযোজিত করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সমস্ত বিমানবন্দরে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে। বিমানবন্দরের প্রতিটি প্রবেশপথের পাশাপাশি গত ২৫ নভেম্বর থেকে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত যারা ব্রিটেন হয়ে বা থেকে এদেশে এসেছেন তাদেরও মানতে হবে।
১. গত ১৪ দিনের যাত্রার বিস্তারিত পেশ করতে হবে সমস্ত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে
২. বিমানবন্দরে প্রবেশের সময় RT-PCR পরীক্ষার জন্য সেল্ফ ডিক্লারেশন দিতে হবে।
৩. ২১ থেকে ২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে যারা ব্রিটেন হয়ে বা থেকে এদেশে এসেছেন তাদের RT-PCR বাধ্যতামূলক
৪. করোনা সংক্রমণ ধরা পড়লে জিন নির্ভর RT-PCR টেস্ট করাতে হবে এবং হাসপাতালে যেতে হবে।
৫. করোনা সংক্রমণ ধরা পড়লে বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী হাসপাতাল বা আইসোলেটেড হয়ে থাকতে হবে।
৬. অভিযোজিত করোনা ভাইরাস এর সন্ধান পাওয়া গেলে তাকে বিশেষ আইসোলেশনে থাকতে হবে।
৭. RT-PCR এ করোনা সংক্রমণ না পাওয়া গেলেও থাকতে হবে হোম আইসোলেশনে
৮. সমস্ত রাজ্যকেই বাধ্যতামূলক ভাবে এই নিয়ম মানতে হবে।