বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলা বিনোদন (Entertainment) জগতে এমন বহু তারকারায় আছেন যারা ছোট পর্দায় (Bengali Serial) কাজ করতে করতে সুযোগ পান বড় পর্দায় (Tollywood) কাজ করা। আবার এমনও অনেকে আছেন যারা টলিউড ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে বাংলা সিরিয়াল ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে বেশি ভালোবাসেন। বড় পর্দার হাত ধরে কাজ শুরু হলেও সেভাবে সাফল্য না আসায় ছোট পর্দাতেই কাজ করছেন তারা। সেই তালিকায় রয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেতা প্রতীক সেন (Pratik Sen)।
বর্তমানে স্টার জলসার এক্কাদোক্কা ধারাবাহিকে ডাক্তার অনির্বাণ গুহর চরিত্রে দেখা পাওয়া যাচ্ছে তাঁর। ৬ মে জন্মদিন অভিনেতার। এই বিশেষ দিনটি ঠিক কিভাবে কাটাচ্ছেন তিনি? সে বিষয়ে সম্প্রতি এক সাংবাদিক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন বহু কথা। জানিয়েছেন নিজের সিঙ্গেল থাকার আসল রহস্য।
শ্যুটিং নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত অভিনেতা। তারই মাঝে কিছুটা সময় বের করে তিনি দিয়ে ফেললেন একটি সাক্ষাৎকার। জন্মদিন উপলক্ষে অভিনেতাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আজকের এই বিশেষ দিনটি নিয়ে নাকি কোন প্ল্যানই নেই তার। তবে তিনি খাওয়াতে ভালোবাসেন তাই যারা আজকে খেতে চায় তাদেরকে তিনি খাওয়াবেন’।
অভিনয় জগতে ঠিক কতটা বছর কাটিয়ে ফেললেন প্রতীক?
অভিনেতার কথায়, ‘ইতিমধ্যেই ১৫ টা বছর আমার ইন্ডাস্ট্রিতে কেটে গেছে। মাঝে মাঝে নিজে ভাবলেও আমি অবাক হয়ে যাই যে এতগুলো বছর আমি কাটিয়ে ফেললাম। যদিও কখনই কোন লক্ষ্য নিয়ে আমি কেরিয়ার শুরু করিনি। তবে মানুষের কাছে নিঃস্বার্থ ভালোবাসা পাচ্ছি এটাই আমার সবথেকে বড় পাওনা। তবে এখনও অনেকটা পথ চলতে হবে’।
সাফল্যের পাশাপাশি যখন ব্যর্থতা এসেছে সেটা কিভাবে সামলেছেন অভিনেতা?
তাঁর কথায়, ‘এই জার্নিটা আসলে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মতো। এমন অনেকেই আছেন যারা প্রথমবারেই পরীক্ষা দিয়ে পাস করে যান। আবার এমনও অনেকে আছেন যারা দীর্ঘ বছর ধরে পরীক্ষা দিয়েই চলেছেন। আমি মনে করি আমার বেশ কিছু ছবি একেবারেই ফ্লপ হয়েছে। কিন্তু সেগুলো আবার দর্শকদের কাছে সুপারহিট ছবি। আসলে রাত না থাকলে কখনই দিন আসে না এটাই আমাদের সকলের জীবনের নিয়ম’।
এখন কি আর বড় পর্দায় কাজ করতে ইচ্ছে করে প্রতীকের?
জবাবে অভিনেতা বলেন, ‘একটা সময় আমি যখন বড় পর্দা ছেড়ে ছোট পর্দায় এসেছিলাম তখন অনেকেই হয়তো নাক কুঁচকেছিল। অনেকেই আমার এই সিদ্ধান্তটা মেনে নিতে পারেনি। যদিও আমি মনে করি সাফল্য যদি আসার থাকে তাহলে যে কোন দিক থেকেই আসবে। সামান্য একটা ছোট ব্যবসা করেও একজন সফল হতে পারেন। আবার অনেক দূর পড়াশোনা করা সত্ত্বেও আসে না সাফল্য’।
সত্যিই কি সিঙ্গেল প্রতীক?
জবাব দিতে কি অভিনেতা বলেন, ‘আসলে আমার জীবনের সবচেয়ে বেশি ইম্পোর্টেন্ট মানুষ আমার মা। আমি মায়ের সাথে সব ধরনের কথা আলোচনা করতে পারি। তবে মাঝে মাঝে একটা বন্ধুর দরকার পরে। কিন্তু নায়কদের কেউ বিশ্বাস করতেই চান না যে তারা সিঙ্গেল। এমনও হয়েছে আমি একটা মেয়েকে পছন্দ করেছি তাকে মনের কথাও জানিয়েছি কিন্তু সে বিশ্বাস করতে চাইনি। বরং জবাবে সে বলেছিল নায়ক হওয়া সত্ত্বেও প্রেমিকা নেই এমনটা বিশ্বাস করা যায় না’।