বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ১০ এপ্রিল শনিবার চতুর্থ দফার নির্বাচনে তুমুল অশান্তির সৃষ্টি হয় কোচবিহারের শীতলকুচিতে। প্রথমে বুথে লাইনে দাঁড়িয়ে এক ১৮ বছরের যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারায়। এরপর সকাল ১০টা নাগাদ কোচবিহারের শীতলকুচির ১২৬ নং বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ৩০০-৩৫০ জন মিলে ঘেরাও করে তাঁদের অস্ত্র কেড়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা করতে গিয়ে প্রাণ হারায় ৪ জন।
এই ঘটনার পর তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনগাঁর একটি সভা থেকে ঘোষণা করেন যে, তিনি রবিবার মাথাভাঙায় যাবেন এবং মৃতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াবেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই আশা সম্পূর্ণ হবে না। শনিবার রাতেই নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট নির্দেশ জারি করে জানিয়ে দেয় যে, আগামী ৭২ ঘণ্টায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমেত কোনও বাইরের নেতা কোচবিহারে ঢুকতে পারবেন না।
কমিশনের নির্দেশে বলা হয়েছে যে, শীতলকুচির ১২৬ নং বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারানো চারজনের শেষকৃত্য এখনও সম্পন্ন হয়নি। আর এই মুহূর্তে শোকার্ত পরিবারের সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা সাক্ষাৎ করতে অশান্তি ছাড়াতে পারে। শুধু ওই এলাকাতেই নয়, পাশের এলাকা গুলোতেও অশান্তির আগুন ছড়াতে পারে আর সেই কারণেই বাইরের সবার প্রবেশ নিষিদ্ধ।