৭৩ তম স্বাধীনতা দিবসে পাকিস্তানের নাম না নিয়ে, পাকিস্তানকে চরম অপমান করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতকাল ৭৩ তম স্বাধীনতা দিবস পালন করল গোটা ভারত। অনেক রক্ত ক্ষরণ, অনেক সংগ্রামের পর এই স্বাধীনতা এসেছিল, তাই দেশের মানুষ এই দিনটিকে প্রতি বছরই ধুমধাম করে পালন করে থাকেন। গতকাল ৭৩ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দিল্লীর লাল কেল্লা থেকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে দেশের মানুষদের সম্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০১৯ এ অভূতপূর্ব জয় হাসিল করার পর এটাই ছিল নরেন্দ্র মোদীর দ্বিতীয় কার্যকালের প্রথম স্বাধীনতা দিবস। গতকালে স্বাধীনতা দিবস নিয়ে গোটা দেশ জুড়েই ছিল চরম উন্মাদনা। এমনকি দেশের মানুষ সকাল সকাল টিভি খুলে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ শনার জন্য।

গতকালের ভাষণে নরেন্দ্র মোদী অনেক কিছু বললেও একটা কথা উহ্য রাখেন। আর সেটা হল ‘পাকিস্তান” এর নাম। গতকাল নরেন্দ্র মোদীর ৯২ মিনিটের ভাষণে একবারও শোনা যায়নি পাকিস্তানের নাম। আর এতেই উঠছে প্রশ্ন, তবে কী পাকিস্তান নিয়ে ‘পথ পরিবর্তনের’ ইঙ্গিত দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী? লাল কেল্লা থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টা ভাষণে কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়া, মুসলিম মা বোনেদের সন্মান ফিরিয়ে দেওয়া সমেত অনেক অনেক প্রসঙ্গ নিয়ে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদের মূল উপড়ে ফেলা, এবং দেশে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন লাগু করার ও সঙ্কেত দেন তিনি। জম্মু কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে কথা বলার সময় শত্রুদেশ পাকিস্তানের নাম না নিয়েই জোরালো বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি স্পষ্ট করে দেন যে, জম্মু কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ মামলা, এটা নিয়ে পাকিস্তান কেন কোন দেশেরই কথা শুনবেন না তিনি। পুলওয়ামায় পাকিস্তান সমর্থিত জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তানকে যেমন আন্তর্জাতিক মঞ্চে একঘরে করে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ঠিক তেমনই জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের পর, পাকিস্তান আবার বিশ্বের মঞ্চে একঘরে হয়ে গেছে। আর এই জন্যই হয়ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পাকিস্তানের প্রতি নিজের বাক্য খরচ করতে চাননি।

X