বাংলাহান্ট ডেস্ক : নন্দন (Nandan) বাঙালির চলচ্চিত্রের পীঠস্থান। দশকের পর দশক ধরে বাংলা সিনেমা প্রেমীদের মনোরঞ্জন করে আসছে এই সরকারি প্রেক্ষাগৃহ। চতুর্দিকে মাল্টিপ্লেক্সের দাপটের মাঝে সস্তায় পুষ্টিকর হিসেবে নন্দনে (Nandan) ছবি দেখা পছন্দ করেন অনেকেই। কিন্তু এবার পুজোয় দেখা গেল ব্যতিক্রমী চিত্র। পুজোয় মুক্তিপ্রাপ্ত তিন তিনটি বাংলা ছবির মধ্যে একটিও জায়গা পেল না নন্দনে (Nandan)।
নন্দনে (Nandan) শো পেল না একটিও পুজোর ছবি
এ বছর পুজোয় একসঙ্গে মুক্তি পেয়েছে তিনটি বাংলা ছবি। দেব সৃজিতের ‘টেক্কা’, শিবপ্রসাদ আবিরের ‘বহুরূপী’ এবং মিঠুন সোহমের ‘শাস্ত্রী’। তিনটি ছবির বক্স অফিস নম্বরই বেশ চমকপ্রদ। পাল্লা দিয়ে ব্যবসা করছে তিনটি ছবিই। অথচ নন্দনে (Nandan) জায়গা হল না একটি ছবিরও। উল্লেখ্য, নন্দনে রয়েছে মোট ৯০০ টি আসন। টিকিটের দামও সাধ্যের মধ্যে থাকায় নন্দনে পুজোর ছবি দেখানো হলে তা ব্যবসায় অনেকটাই লাভজনক হত বলে মন্তব্য করেন টলিউডের এক পরিবেশক। তা সত্ত্বেও কেন নন্দনে ব্রাত্য থাকল পুজোর ছবি?
আরো পড়ুন : মা দুর্গার সামনে বসেই দেদার পিএনপিসি, সেলফি, বম্বের পুজোয় একসঙ্গে কাজল-রানি
দেব শিবপ্রসাদে ক্ষুন্ন সরকার?
নেপথ্যের কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে প্রথমেই যেটা উঠে আসছে সেটা হল, মিঠুন চক্রবর্তীর ছবি এর আগেও ব্রাত্য থেকেছে নন্দনে (Nandan)। দেব মিঠুনের প্রজাপতি নন্দনে না চললেও পরবর্তীতে আবার ‘কাবুলিওয়ালা’ শো পেয়েছে নন্দনে। তবে এবার কোন কারণে তিনটি ছবির কোনোটিই নন্দনে জায়গা পেল না? গুঞ্জন বলছে, সম্প্রতি আরজিকর কাণ্ডে টলিউডের প্রতিবাদ মিছিলে দেখা গিয়েছে শিবপ্রসাদকে। অন্যদিকে আর্টি ফোরামের তরফে সমাবেশ মঞ্চে বিজেপির রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের পাশে দেখা মিলেছে দেবের। তারই ফলাফল কি এটা?
আরো পড়ুন : বিয়ে হতে গিয়েও ভেস্তে যায় শেষমেষ, এই নায়িকার জন্যই আজীবন অবিবাহিত থাকেন রতন টাটা!
আরজিকর কাণ্ডের ছায়া এখানেও?
শোনা যাচ্ছে, মিঠুনের শাস্ত্রী নন্দনে (Nandan) জায়গা না পাওয়ার বিতর্ককে লঘু করতেই নাকি অপর দুটি ছবিকেও জায়গা দেওয়া হয়নি এই প্রেক্ষাগৃহে। আবার এমনো গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, আরজিকর কাণ্ডে বেশ কিছু প্রতিবাদ মিছিলের সূচনা স্থল যেহেতু ছিল নন্দন চত্বর, তাই পুজোর সময়ে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতেই নাকি পুজোর ছবি রাখা হয়নি নন্দনে। উপরন্তু অষ্টমী থেকে বন্ধও থাকছে এই সরকারি প্রেক্ষাগৃহ।
এই সবকিছুর পাশাপাশি আরো একটি তথ্য উঠে আসছে। আগামী ডিসেম্বর মাসের কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। তার প্রস্তুতিতে পুজোর পরেই নন্দনে মেরামতির কাজ শুরু হয়ে যাবে। সেই কারণেই পুজোর কোনো ছবিই নেওয়া হয়নি বলে শোনা যাচ্ছে। যদিও এর মধ্যে কোনটি আসল কারণ সে বিষয়ে স্পষ্ট ভাবে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।