কলেজে করা যাবে না সরস্বতী পুজো! ফরমান ঘিরে তুমুল উত্তেজনা, গুরুতর অভিযোগ পড়ুয়াদের

বাংলা হান্ট ডেস্ক : সরস্বতী পুজো মানেই, স্কুল, কলেজ , শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উৎসবের মেজাজ। সকাল থেকে হলুদ শাড়ি কিংবা পাঞ্জাবি পরে কচিকাচাদের ঠাকুর দেখতে যাওয়া ,কিংবা অঞ্জলি দেওয়ার হিড়িকের ছবিটাই দেখতে অভ্যস্ত বাংলা। তবে এবার বিহারে (Bihar) এই সরস্বতী পুজো ঘিরেই শুরু হয়েছে চাপানোতর। সেখানে মাধেপুর জেলার বিপি মণ্ডল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পড়ুয়াদের সরস্বতী পুজোর আয়োজন থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এমনকি কেউ নির্দেশ অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপও নেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে।

গতকাল শুক্রবার ঝামেলা এতটাই বেড়ে যায় যে পরিস্থিতি সামাল দিতে ডাকতে হয় পুলিস। কিন্তু ছাত্ররা পুলিসকেও দীর্ঘক্ষণ কলেজের ভিতরে আটকে রাখে। মূর্তি স্থাপনের অনুমতি না পেয়েই ক্ষেপে যায় ছাত্ররা। তাঁদের অভিযোগ, অধ্যক্ষ ছাত্রদের মারধর করেছে। বেশ কয়েকজন ছাত্রকে ক্লাসরুমে বন্ধ করে রাখা হয়। এবং তাঁদের সাসপেন্ড করারও হুমকি দেওয়া হয় বলে জানা যায়।

অপরদিকে ভিন্ন চিত্র দেখা গেল বাংলায়। ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে অশান্তির চোটে কমবেশি ক‌্যাম্পাস উত্তাল হওয়ার অভিযোগ প্রতিবার আসে। কিন্তু সরস্বতী পুজোকে ঘিরে এমন অভিযোগ গত দু’-এক বছরে একটু বেশিই আসার জেরে এবার সরস্বতী পুজোর (Saraswati Puja) দায়িত্ব কোনও এজেন্সির হাতে দিতে টেন্ডার ডাকল কলকাতা বিশ্ববিদ‌্যালয় কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের তরফে দেওয়া নোটিসে জানানো হয়েছে, প‌্যান্ডেল বানানোর দায়িত্বে থাকবে টেন্ডার পাওয়া এজেন্সি। বিশ্ববিদ্যালয় ওই এজেন্সি ছাড়া কারও হাতে টাকা দেবে না।

bihar 3

পুজোর আয়োজন, ৬-৭ ফুটের প্রতিমা-সহ অন্যান্য দশকর্মার জিনিস কেনার কাজ, আলপনা দেওয়া, প্রসাদ বিতরণের মতো কাজ বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারিত কমিটি করবে ওই এজেন্সির মাধ্যমে। তাদের টাকা মিটিয়ে দেবে বিশ্ববিদ্যালয়। ছাত্রছাত্রীরা পুজোয় যেমন অংশ নেওয়ার নেবেন। প্রাক্তন কোনও ছাত্রছাত্রীর প্রবেশাধিকার নিষেধ। কোনও সাউন্ড বক্স বাজানো যাবে না। প্রতিমা বিসর্জনের দায়িত্বেও থাকবে ওই কমিটি। প্রথমে ছাত্রছাত্রীদের নোটিস দিয়ে সে কথা জানিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তার সঙ্গেই নির্দিষ্ট কাজগুলি করার জন‌্য টেন্ডার ডাকা হয়েছে।

Sudipto

সম্পর্কিত খবর