বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আবারও শাসক দল তৃণমূলের আরেকটি মিথ্যের পর্দাফাঁস হল। এবার মিথ্যের পর্দাফাঁস করল স্বয়ং আয়কর দফতর। বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন মিডিয়ায় একটি খবর প্রকাশিত হয়ে আসছে, যেখানে বলা হচ্ছে যে পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুজো কমিটি গুলোকে আয়কর দফতর থেকে নোটিশ ধরানো হয়েছে। তাঁদের সমস্ত খরচের হিসেব চেয়েছে আয়কর দফতর। এমনকি এই ঘটনার প্রতিবাদে তৃণমূলের বঙ্গজননী বাহিনী এবং কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ধর্নায় বসেছেন। কিন্তু তৃণমূল যে এই ঘটনা আর এই প্রতিবাদ শুধুমাত্র রাজনৈতিক চরিতার্থ সফল করার জন্য করছে, সেটা এবার সামনে এলো।
প্রত্যক্ষ কর দফতরের টেকনিক্যাল পলিসি বিভাগের কমিশনার সুরভি আলুওয়ালিয়া মঙ্গলবার একটি বিবৃতি দিয়ে জানান, দুর্গাপুজো কমিটি গুলোকে বিপদে ফেলতে অথবা কোন পুজো বন্ধ করতে নোটিশ জারি করা হয়নি। নোটিশ জারি করা হয়েছে ঠিকাদার ও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে যারা কর ফাঁকি দিচ্ছে। আর তাঁদের এই কর ফাঁকি রুখতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, এর সাথে দুর্গাপুজো কমিটি গুলোর কোন সম্পর্ক নেই।
প্রত্যক্ষ কর দফতরের টেকনিক্যাল পলিসি বিভাগের কমিশনার সুরভি আলুওয়ালিয়া মঙ্গলবার একটি বিবৃতি দিয়ে জানান, আয়কর বিভাগ তথ্য পেয়েছে যে, দুর্গাপুজোর প্যান্ড্যাল এবং নানারকম কাজের সময় বেশ কিছু ঠিকাদার কর দিচ্ছিল না। আর এই কারণে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাশে ৩০ তি পুজো কমিটির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল যে, তাঁরা ঠিকাদারদের পেমেন্টের সময় মূল উৎস কেটে নিয়েছিল কি না? আর তাঁদের কাছে সেই সংক্রান্ত কোন স্টেটমেন্ট আছে কি না?
আয়কর দফতর থেকে এটাও জানানো হয় যে, শুধুমাত্র রাজনৈতিক চরিতার্থ সফল করার জন্যই এরকম মিথ্যে রটাচ্ছে বাংলার শাসক দল তৃণমূল। তাঁরাই মানুষের মাঝে ভুয়ো খবর ছড়িয়ে বলছে যে, আয়কর দফতর থেকে নোটিশ পাঠিয়ে দুর্গাপুজো বন্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু এই ব্যাপারটা আদৌ সত্য নয়। আয়কর দফতরের থেকে জানানো হয় যে, দুর্গাপুজোয় প্যান্ড্যাল করার জন্য ঠিকাদারেরা যথেষ্ট টাকা নিচ্ছে, কিন্তু তাঁরা কর দিচ্ছে না।
সাধারণ মানুষ যদি তাঁদের সীমিত আয়ের উপর হাসি মুখে কর দিতে পারে, তাহলে ঠিকাদারেরা কেন দেবেনা? আর শাসক দলের পক্ষ থেকে কি ঠিকাদারদের আড়াল করতে এই রকম মিথ্যে খবর ছড়ানো হচ্ছে? পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূল রাজ্যের মানুষকে এই বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছে যে আয়কর লেলিয়ে দিয়ে পুজো কমিটিগুলিকে বিজেপি-র কাছে আত্মসমর্পণ করাতে চাইছে মোদী সরকার। সম্ভবত সেই কারণেই গোটা বিষয়টি নিয়ে এ দিন ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রত্যক্ষ কর বিভাগ।