বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০২৩ সালে বিবাহবন্ধনে (Marriage) আবদ্ধ হয়েছিলেন এক দম্পতি। সেই বছরের ৩০ এপ্রিল হিন্দু রীতিতে বিয়ে করেন তাঁরা। কিন্তু অভিযোগ, এরপর স্ত্রী তাঁর পরিবারের কাছে দাবি করেন, তাঁর স্বামী পুরুষত্বহীন ও বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপনে অস্বীকার করছেন। এরপর জল গড়ায় আদালত অবধি। গত বছর জুলাই মাসে রায়গড় পারিবারিক আদালতে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার ১৪৪ ধারায় প্রত্যেক মাসে ২০,০০০ টাকা খোরপোষ দাবি করেন ওই স্ত্রী। এবার সেই দম্পতির মামলাতেই বড় নির্দেশ দিল হাইকোর্ট (High Court)।
হাইকোর্টের (High Court) পর্যবেক্ষণ নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা!
জানা যাচ্ছে, একদিকে স্ত্রী মাসিক ভরণপোষণ চান। অন্যদিকে স্বামী তাঁর স্ত্রীয়ের কুমারীত্ব পরীক্ষার দাবি জানিয়েছিলেন। ওই ব্যক্তি অভিযোগ করেন, তাঁর স্ত্রী বিবাহপূর্ব একটি অবৈধ সম্পর্কে ছিলেন। গত বছর অক্টোবর মাসে রায়গড় পারিবারিক আদালতের তরফ থেকে ওই আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়।
সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে ছত্তিশগড় হাইকোর্টের (Chhattisgarh High Court) দ্বারস্থ হন ওই ব্যক্তি। এবার সেই মামলাতেই বড় পর্যবেক্ষণ বিচারপতি অরবিন্দ কুমার ভার্মার। কুমারীত্ব পরীক্ষার জন্য কোনও মহিলাকে বাধ্য করা যাবে না। এই পরীক্ষা করানো সংবিধানের ২১ নং অনুচ্ছেদের অধীন ওই ব্যক্তির জীবন ও স্বাধীনতার সুরক্ষার মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করে, রায় দিয়েছে উচ্চ আদালত।
আরও পড়ুনঃ পরীক্ষার খাতায় ‘ব্ল্যাক ম্যাজিক’! কীভাবে যোগ্যরা হয়ে যাচ্ছেন অযোগ্য? সামনে চাঞ্চল্যকর তথ্য
হাইকোর্ট জানিয়েছে, ‘কুমারীত্ব পরীক্ষার জন্য কোনও নারীকে বাধ্য করা সংবিধানের ২১ নং অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন। যা কিনা মহিলাদের সম্মানের অধিকার নিশ্চিত করে। এটি মৌলিক অধিকারের ‘হৃদয়’’।
উচ্চ আদালতের (High Court) বিচারপতি অরবিন্দ কুমার ভার্মা স্পষ্ট জানিয়েছেন, কুমারীত্ব পরীক্ষা মহিলাদের মর্যাদা ও শালীনতার লঙ্ঘন ও কোনও ভাবেই এটি গ্রহণযোগ্য নয়। হাইকোর্ট জানিয়েছে, স্বামী যদি নিজেকে ‘সক্ষম’ প্রমাণ করতে চান, তাহলে তিনি নিজে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে পারেন কিংবা অন্য কোনও প্রমাণ হাজির করতে পারেন। তবে স্ত্রীকে কোনও ভাবে কুমারীত্ব পরীক্ষার জন্য বাধ্য করাতে পারেন না স্বামী, জানিয়ে দিয়েছে হাইকোর্ট।