এবার নোবেল পুরস্কার পেলেন AI-এর গডফাদার! হোপফিল্ড এবং জিওফ্রে হিন্টনের কৃতিত্ব জানলে অবাক হবেন

বাংলা হান্ট ডেস্ক: সম্প্রতি ২০২৪ সালের পদার্থবিজ্ঞানের ওপর নোবেল পুরস্কারের (Nobel Prize) ঘোষণা করা হয়েছে। আর এবার এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে দুই বিজ্ঞানী জেফরি ই. হিন্টন এবং জন হোপফিল্ডের। তবে এরা কোনো সাধারণ ব্যক্তি নন। এদের মধ্যে বিজ্ঞানী হিন্টনকে বলা হয় AI-এর গডফাদার। এই দুই মহান বিজ্ঞানীর অভিনব আবিষ্কার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আজ বিশ্বজোড়া খ্যাতি লাভ করেছে। জানা গিয়েছে, কৃত্রিম নিউরনের ওপর ভিত্তি করে মেশিন লার্নিংয়ের ক্ষেত্রে নতুন প্রযুক্তির বিপ্লব আনার জন্য আজ তাঁরাএই পুরস্কার পেতে চলেছেন।

নোবেল পুরস্কার (Nobel Prize) পেলেন AI-এর গডফাদার:

দুই মহান ব্যক্তির অভিনব আবিষ্কার: সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, জন হোপফিল্ড একটি সহযোগী মেমরি তৈরি করেছেন যা ফটো এবং অন্যান্য নিদর্শনগুলিকে ডেটা হিসাবে সংগ্রহ করে পুনর্গঠন করতে পারে। উল্টোদিকে, জেফরি হিন্টন এমন একটি প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন যার নাম “বোল্টজম্যান মেশিন”। যার সাহায্যে স্বাধীন ভাবে দু’টি ডেটার মধ্যে পার্থক্য করতে পারবে এই যন্ত্র। তবে, এই প্রযুক্তির আরও বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। বিজ্ঞানীদের তৈরি এই প্রযুক্তির সাহায্যে মেশিনগুলি যে কোনও ছবির বৈশিষ্ট্য দেখে তাঁর নাড়িনক্ষত্র বের করে দেবে। শুধু তাই নয়, এই মেশিনকে এমনভাবে আবিষ্কার করা হয়েছে যা মানুষের মস্তিষ্কের মতো চিন্তা করতে পারবে এবং বুঝতে সাহায্য করবে।

Nobel prize awarded Hopefield and Geoffrey.

কে এই হিন্টন এবং জন হপফিল্ড: জিওফ্রে এভারেস্ট হিন্টন হলেন একজন ব্রিটিশ কানাডিয়ান কম্পিউটার বিজ্ঞানী. এছাড়াও তিনি একজন মনোবিজ্ঞানীও বটে। কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কে কাজের জন্য আজ এতো পরিচিতি। এই কারণে তিনি “AI-এর গডফাদার” উপাধিও পেয়েছেন। হিন্টন AI নিয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন ব্রিস্টলের ক্লিফটন কলেজ এবং ইংল্যান্ডের কেমব্রিজের কিংস কলেজ থেকে। একসময় তিনি গুগলে কাজ করতেন। কিন্তু ২০২৩ সালে সেই কাজ ছেড়ে দিয়েছেন। তবে শুধু হিন্টন একা নয়, একাধারে হোপফিল্ডও অত্যন্ত বুদ্ধিমান। তার বুদ্ধিমত্তার তারিফ করলে কম পড়ে যায়। তিনি আমেরিকার প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।

আরও পড়ুন: ৩,৬৫,০৫,০৯,১২,৫০০….. একদিনেই বিপুল লক্ষ্মীলাভ আদানির! ধনকুবেরদের তালিকায় কোথায় দাঁড়িয়ে আম্বানি?

এক সাক্ষাৎকারে তাঁরা জানিয়েছেন যে, ভবিষ্যতে AI-এর কারণে বিপুল সংখ্যক মানুষ চাকরিহারা হবেন। শুধু তাই নয়, একসময় সমাজে ভুল তথ্যের প্রচারও বাড়তে থাকবে। এখানেই শেষ নয় জানা গিয়েছে, নোবেল পুরস্কার ঘোষণার সময় কমিটি বলে যে, এই দুই বিজ্ঞানী বিশ্বকে কম্পিউটার ব্যবহারের নতুন পদ্ধতি শিখিয়েছে। যা এর আগে কেউ ভাবতেও পারেনি।

আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে থাকবে হাইব্রিড মডেল! এই দেশে ম্যাচ খেলতে পারে টিম ইন্ডিয়া, কোথায় হবে ফাইনাল?

কত টাকা পাবেন এই পুরস্কারের মাধ্যমে: এই পুরস্কারের ঘোষণা করে সুইডিশ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস। আর সেখান থেকেই জানা যায়, এই বছরের নোবেলজয়ীরা (Nobel Prize) নোবেল পদক ছাড়াও পাবেন একটি সনদপত্র। সেইসাথে দু’জনকে মোট ৮ কোটি টাকা দেওয়া হবে। সে যাই হোক, দুই বিজ্ঞানীর এই অভিনব আবিষ্কার দেখে মানুষ রীতিমতো প্রশংসায় পঞ্চমুখ।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর