বাংলাহান্ট ডেস্ক: বিতর্কের আরেক নাম নোবেল (Noble)। দুই বাংলার নামী শিল্পী, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে কুকথা বলা থেকে, নারীসঙ্গ, প্রকাশ্যে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, আর এখন মঞ্চে দাঁড়িয়েও অভদ্রতা শুরু করেছেন মইনুল আহসান নোবেল। সম্প্রতি পরিস্থতি কার্যত হাতের বাইরে বেরিয়ে যেতে শিল্পীর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন তাঁর স্ত্রী সালসাবিল।
বাংলাদেশি গায়ককে এপার বাংলার মানুষ প্রথম চেনে জনপ্রিয় গানের রিয়েলিটি শো সারেগামাপার মাধ্যমে। তাঁর দাপুটে কণ্ঠস্বর রক গান, বাংলা ব্যান্ডের জনপ্রিয় গানগুলোকে নতুন মাত্রা দিয়েছিল। বিচারক থেকে শ্রোতারা ভক্ত হয়ে উঠেছিলেন নোবেলের। সেই সিজনে তৃতীয় হয়েছিলেন নোবেল।
কিন্তু তখনকার নোবেল আর এখনকার নোবেলের মধ্যে মিল খুঁজতে গেলে খুব বড় ভুল করবেন। কয়েক বছরের মধ্যেই যেন সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছেন তিনি। আগে নোবেল মঞ্চে উঠলে হাততালি, সিটি পড়ত। এখন ছোড়া হয় জুতো। স্ত্রী সালসাবিলের সঙ্গেও তার সম্পর্ক ভাল নয়। এবার বাংলাদেশি সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খুললেন তিনি।
নোবেলের বিরুদ্ধে বিষ্ফোরক দাবি এনেছেন সালসাবিল। শিল্পী নাকি নিয়মিত মাদক সেবন করেন। প্রতিদিন প্রায় ৪ লক্ষ টাকার মাদক সেবন করেন তিনি। তারপরেই এমন অপ্রকৃতিস্থের মতো আচরণ করেন নোবেল। মাদক না নিলে তিনি সম্পূর্ণ অন্য মানুষ বলে দাবি করেন সালসাবিল।
নোবেল অবশ্য স্ত্রীর মন্তব্যের কোনো উত্তর এখনো পর্যন্ত দেননি। তবে কিছুদিন আগে বাংলাদেশের এক কলেজের অনুষ্ঠানে গান গাইতে অভব্য আচরণের সীমা পার করেন তিনি। মঞ্চে উঠেও অসংলগ্ন আচরণ করতে শুরু করেন নোবেল। চোখ থেকে চশমাটা খুলে তিনি নিজেই পাঞ্জাবির কলারে রেখে কথা বলতে শুরু করেন শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে।
কিন্তু কথা শেষ করেই চিৎকার শুরু করে দেন নোবেল, ‘আমার চশমাটা কই?’ চশমা পেয়ে বেসুরো গলায় ‘আমি বাংলায় গান গাই’ গাইতে শুরু করে দেন তিনি। এক সময়ে মাইক স্ট্যান্ডটাই আছড়ে ভেঙে ফেলার উপক্রম করেন তিনি। এমনকি মঞ্চের উপরে বসেও পড়েন নোবেল। শ্রোতারাও অবশ্য চুপ করে থাকেননি। জলের বোতল, জুতো ছুড়ে মারেন তারা নোবেলের দিকে। দ্রুত সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।
এরপর বিতর্ক ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠলে নোবেল স্বীকার করেন যে তিনি মদ্যপান করেন। আর মঞ্চে গান গাইতে ওঠার আগে যেকোনো শিল্পী মাত্রেই নাকি এমনটা করে থাকে। শ্রোতাদের মনোরঞ্জনের জন্যই এমনটা করা হয় বলে দাবি করেছিলেন নোবেল। এর জন্য তিনি হাঁটু মুড়ে বসে ক্ষমাও চাইতে পারেন বলে মন্তব্য করেছিলেন বিতর্কিত শিল্পী।