বাংলা হান্ট ডেস্ক : জমি নিয়ে জটিলতায় আদালতে স্বস্তি পেলেন অর্মত্য সেন (Amartya Sen)। নোবেলজয়ীর পক্ষেই রায় দিল সিউড়ি আদালত (Siuri Court)। বিশ্বভারতী (Visva Bharati University), অমর্ত্য সেনের বিরুদ্ধে জমি দখল করে রাখার অভিযোগ তুলেছিল। এইদিন সেই অভিযোগ খারিজ করে অমর্ত্য সেনের পক্ষেই রায় দিল আদালত। এই প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নোবেলজয়ীর বিরুদ্ধে জমি দখল করে রাখার অভিযোগ তুলেছিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। উচ্ছেদের নোটিশও পাঠানো হয়। বুধবার সিউড়ি আদালতে এই মামলার শুনানির পর অমর্ত্য সেনের আইনজীবী জানিয়েছেন, সিউড়ি জেলা আদালত বিশ্বভারতীর দেওয়া নোটিশ খারিজ করে দিয়েছে। বিচারক নাকি জানিয়েছেন বিশ্বভারতীর নোটিশ ভিত্তিহীন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী একদা এই অভিযোগ তুলেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, বিশ্বভারতীর জমি দখল করে রেখেছেন অমর্ত্য সেন। সেই সময় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন নোবেলজয়ীর দিকে। এদিকে উপাচার্যও ছিলেন নাছোড়বান্দা। তার দাবি ছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ ডেসিমিল জায়গা নিজের দখলে রেখেছেন অমর্ত্য সেন।
আরও পড়ুন : বাবরির পর জ্ঞানবাপী, কোর্টে হিন্দুপক্ষের জয়! মসজিদের বেসমেন্টে পুজো করার অনুমতি দিল আদালত
এদিকে অমর্ত্য সেনের দাবি ছিল, ঐ জমি তিনি পৈতৃক সূত্রে পেয়েছেন। একথা শুনে, উপাচার্য উচ্ছেদের নোটিশ পাঠায় নোবেলজয়ীকে। নোটিশে বলা হয়, ঐ ১৩ ডেসিমিল জায়গা না খালি করলে তাকে জোর করে উচ্ছেদ করা হবে। এরপরেই মামলা পৌঁছায় সিউড়ি জেলা আদালতে। আর বুধবার সেই মামলারই রায় দিল সিউড়ি আদালতের বিচারপতি।
সূত্রের খবর, সেই মামলায় বিশ্বভারতীর ‘এভিকশন অর্ডার’কে বাতিল করে দিয়েছে আদালত। অর্থাৎ জমি মামলায় অমর্ত্যের জয় হল বলেই মনে করছেন তার আইনজীবীরা। আদালতের রায় সামনে আসার পর অমর্ত্য সেনের আইনজীবী বিমান চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের আবেদন মেনে নিয়েছে আদালত। বিশ্বভারতী যে নোটিস দিয়েছিল তার বিরুদ্ধে আমরা আদালতে আবেদন করেছিলাম। সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন বিচারক।’