টিকিয়াপাড়ার হামিলাকারীদের উপর জামিন অযোগ্য মামলা দায়ের, দিনভোর চলল পুলিশি টহল

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ লকডাউন উপেক্ষা করে টিকিয়াপাড়ায় (Tikiapara) পুলিশের উপর হামলা চালানোর পর, বুধবার রুট মার্চ করল র‌্যাফ (Rapid Action Force) ও পুলিশ মিলিয়ে তিনশো জনের বিশাল পুলিশ বাহিনী। নেতৃত্বে ছিলেন হাওড়া সিটি পুলিশের আধিকারিকরা। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হামলাকারী জনতাদের মধ্যে থেকে মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে হাওড়ার ডিসি সেন্ট্রাল জবি থমাস জানিয়েছেন, এখনও অবধি ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

tikiya 444

করোনা ভাইরাসের (COVID-19) কারণে রেড জোনে থাকা হাওড়ায় টহল দিতে যায় পুলিশ কর্মীরা। মঙ্গলবার টহল দিতে বাঁধা দেওয়া পুলিশ কর্তাদের। কন্টেইনমেন্ট জোন বেলিলিয়াস রোডে বিকেল ৪ টে নাগাদ প্রচুর মানুষ একত্রে মিলে একটি ফলের দোকানে ভিড় জমায়। রেড জোনের অন্তর্ভুক্ত এলাকায় সম্পূর্ণ লকডাউন অমান্য করার জন্য পুলিশ তাঁদের দিকে লাঠি নিয়ে ধেয়ে যায়। কিন্তু জনতা লকডাউন মান্য না করে, উল্টে উত্তেজিত হয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ায়। পুলিশের দিকে পাথর, বোতল ছুঁড়তে থাকে। এমনকি ভাঙচুর করা হয় পুলিশের দুটি ভ্যান। দুই মহিলা পুলিশকর্মী এবং চার পুলিশকর্মী আহত হয়।

tikiya 222

ঘটনার খবর পেয়ে হাওড়া থানা ও ব্যাঁটরা থানার পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ায় র‍্যাফ নামাতে বাধ্য হয় পুলিশ। এরই মধ্যে এক স্থানীয় বাসিন্দা পেছন থেকে এসে এক পুলিশকর্মীকে লাথি মারেন। সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই, হইচই পরে যায় রাজনৈতিক মহলে। বুধবার সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে র‌্যাফ ও পুলিশ মিলিয়ে তিনশো জনের এক বিশাল বাহিনী এলাকায় ঘোরেন। রেড জোনের বাইরে থাকা সত্ত্বেও ব্যাঁটরা, চ্যাটার্জিহাট ও রামরাজাতলা থানা এলাকায় খোলা হয়নি কোন দোকান, এমনকি বসেনি কোন বাজারও।

tikiya

বুধবার থেকে যে অঞ্চলে প্রথমে কিছু দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, তাও বাতিল করে দেয় প্রশাসন। বেলিলিয়াস রোড থেকে দশরথ ঘোষ লেন আবার শিবপুর, মালিপাঁচঘরা, ব্যাঁটরা, রামরাজাতলা ও চ্যাটার্জিহাট থানা এলাকার মুদি দোকানগুলোতে বাইরে থেকে নিজেদের ফোন নম্বর ঝুলিয়ে রাখেন দোকানদাররা। সকাল ৮ টার পর বাজারও করতে দেখা যায়নি কাউকে। এমনকি বসেনি দুধ এবং বেকারির জিনিসও।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর