বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন! কিন্তু তার আগে এখনও বাংলায় বেশ নড়বড়ে বিজেপির (BJP) সংগঠন। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও হামেশাই উঠে আসছে গোষ্ঠী কোন্দলের ছবি। সম্প্রতি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন হলদিয়ার বিধায়ক তাপসী মন্ডল। কানাঘুঁষো শোনা যাচ্ছে, তারপর থেকেই নাকি দলের অন্দরে বাড়তে শুরু করেছে বেসুরোদের তালিকা। এসবের মধ্যেই আজ আচমকা সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন আলিপুরদুয়ার কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়ক মনোজ কুমার ওঁরাও (Manoj Kumar Oraon)।
বিজেপি (BJP) বিধায়কের ফেসবুক পোস্টে ঘিরে তুঙ্গে জল্পনা
প্রসঙ্গত কিছুদিন আগেই এই বিষয়ে একপ্রকার ভবিষ্যদ্বাণী করে রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) জানিয়েছিলেন, ‘আগামী দিনে বিজেপি ছেড়ে ৩৬ জন বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন।’ ইতিমধ্যেই তৃণমূল নেতার সেই ভবিষ্যদ্বাণী অল্পবিস্তর মিলতে শুরু করেছে। আজই বিজেপি বিধায়ক মনোজ কুমার ওঁরাও (Manoj Kumar Oraon) দলের সব পদ ছাড়ার কথা জানিয়েছেন। সেইসাথে জানিয়ে দিয়েছেন নিজের নতুন দায়িত্ব সম্পর্কেও। আর এই আবহে প্রশ্ন উঠছে তাপসী মণ্ডলের পথ অনুসরণ করে তিনিও কি তৃণমূল শিবিরে যোগ দেবেন?
কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়ক (Manoj Kumar Oraon) অবশ্য তৃণমূলে যোগদানের জল্পনায় জল ঢেলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন সব দায়িত্ব ছাড়লেও বিজেপি ছাড়বেন না তিনি। বরং দলের কোনও পদ ছাড়াই তিনি বিজেপিতে থাকছেন একজন সাধারণ কর্মী হিসাবে। তবে এদিন ওই সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে মনোজকুমার শুভেন্দু অধিকারী এবং দিলীপ ঘোষের মতো দলের শীর্ষ নেতৃত্বদের প্রশংসা করলেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন দলের একাংশের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: শান্তিপ্রসাদের জামিনের বিরোধিতা কেন? সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে CBI
বিজেপি নেতার কথায়, ‘শুভেন্দু অধিকারী ও দিলীপ ঘোষ বাংলায় পরিবর্তন আনতে জান প্রান লাগিয়ে দিচ্ছে। কয়েকজন নেতৃত্ব ব্যাক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করতে উঠে পড়ে লেগেছে। কিন্তু কয়েকজন সাধারণ কর্মীদের ভাবাবেগে আঘাত করে ও তাদের পছন্দের বিরুদ্ধে চাটুকারিকেই প্রধান্য দিচ্ছে।’ একইসাথে তাঁর সংযোজন, ‘আলিপুরদুয়ার জেলায় নির্বাচনে দলের রেজাল্ট খারাপ হলে এর দায় তাদেরই নিতে হবে।’
এখানেই শেষ নয়, দলের অন্দরের পরিবেশের কথা জানিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘এই পরিবেশে দলের কোন দায়িত্বে থাকতে পারছি না। তাই সব দলীয় পদ থেকে অব্যহতি নিলাম।একজন সাধারণ কর্মী হিসাবে বিজেপিতে থাকবো।’ সূত্রের খবর, জেলা সভাপতি নিয়ে বিরোধের জেরেই ফেসবুকে এই পোস্ট করা হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে তিনি সরাসরি সংবাদমাধ্যমকে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি।