বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মহানগরী থেকে কয়েকশো কিলোমিটার দূরে সবুজে ঘেরা উত্তরবঙ্গ (North Bengal)। সেখানে এবারে একের পর এক জমজমাটি সব পুজো। মায়ের প্রতিমা থেকে শুরু করে মণ্ডপ সজ্জা থিম, সবদিক থেকেই কিন্তু নিঃসন্দেহে জোর টেক্কা দিচ্ছে দক্ষিণবঙ্গের পুজো গুলিকে। রাজার শহর কোচবিহারের বিগ বাজেটের পুজোগুলিতে সেই শুরুর দিন থেকেই ভিড়ে ঠাসা মণ্ডপ। জেলার অন্যতম সেরা পুজো গুলির মধ্যে একটি হল আজাদ হিন্দ সংঘের পুজো (Azad Hind Sangha)।
মাথাভাঙ্গা (Mathabhanga) শহরের এই আজাদ হিন্দ সংঘের পুজো মানেই প্ৰতি বছর একেবারে হাটকে থিমের উপস্থাপনা। প্ৰতি বছরের মতো এবছরেও সকাল থেকে রাত মানুষের উপচে পড় ভীড়। আর এবারে ৬১ তম বর্ষে সেখানে গড়ে তোলা হয়েছে ঝাঁসির রানির দুর্গ (Jhansi ki Rani Lakshmibai)। মাথাভাঙ্গা শহরের অন্য সকল পুজোর লাইমলাইট যেন টেনে নিয়ে গিয়েছে এই পুজো মণ্ডপ।
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের মধ্যে ঝাঁসির রানি লক্ষ্মীবাই এর ভূমিকা সকল ভারতীয়র মনে গাঁথা। ঝাঁসির রানির দুর্গের আদলে বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে পুজো মণ্ডপ। মণ্ডপের ভেতরে রয়েছে আকর্ষণীয় আলোকসজ্জা। আর মায়ের শ্বেত শুভ্র প্রতিমা। নারী শক্তিকে প্রাধান্য দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে হয়েছে গোটা পুজো মণ্ডপ। যা নিঃসন্দেহে মন ছুঁয়ে গিয়েছে দর্শকদের।
আরও পড়ুন: তেড়ে আসছে নিম্নচাপ! কখন শুরু হবে বৃষ্টির তাণ্ডব? মন খারাপ করা খবর দিল আবহাওয়া দপ্তর
এই ভাবনার বিষয়ে আজাদ হিন্দ সংঘের অন্যতম কর্মকর্তা নিরময় সরকার জানান, প্রায় ২৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে গড়ে উঠেছে এই পুজো মণ্ডপ। তার কথায়, প্রতিবারই দুর্গাপুজোয় তাদের থিমে চমক থাকে। আর এবার দেবীর আরাধনায় নারী শক্তিকে প্রাধান্য দিয়ে একেবারে ভিন্নধর্মী চিন্তাভাবনায় এই মণ্ডপ গড়ে তোলা হয়েছে।
তবে এই প্রথম নয়, মাথাভাঙ্গার সেরা পুজোগুলির তালিকায় প্রতিবছরই প্রথম সারিতে জায়গা করে নেয় আজাদ হিন্দ সংঘের পুজো। গত বছরের ন্যায় এবারও ভার্চুয়াল মাধ্যমে এই পুজোর উদ্বোধন করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হৃদয় ছোঁয়া থিম, সুসজ্জিত পুজো মণ্ডপ ও জমকালো আলোকসজ্জার নিরিখে এ বছরও কোচবিহার জেলার সেরার সেরা পুজোর মধ্যে অন্যতম এই আজাদ হিন্দ সংঘের পুজো। যা ইতিমধ্যেই জিতে নিয়েছে অসংখ্য পুরস্কার। তাহলে আর দেরী কেন, অষ্টমীর সন্ধ্যায় নিজে গিয়েই চাক্ষুস করুন ঝাঁসির রানির দুর্গ।