বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভোর ভোর উঠে টাইগার হিল থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ দৃশ্য দেখার সৌভাগ্য সবার হয় না। দার্জিলিং গেলেই পর্যটকদের অন্যতম প্রধান আকর্ষণের কেন্দ্র বিন্দুতে থাকে টাইগার হিল থেকে সূর্যোদয় দেখা। তবে এবার রীতিমত প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে চলেছে টাইগার হিল। কিছুদিনের মধ্যেই খুলে দেওয়া হবে উত্তরবঙ্গের (North Bengal) রাচেলা ভিউপয়েন্টের রাস্তা।
উত্তরবঙ্গের (North Bengal) বিখ্যাত ভিউ পয়েন্ট
সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্তাদের মতে, কালিম্পংয়ের নেওড়া ভ্যালি জাতীয় উদ্যানের ভিতর ১০ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত উত্তরবঙ্গের (North Bengal) রাচেলা ভিউপয়েন্ট থেকে ঘুমন্ত বুদ্ধের নৈসর্গিক দৃশ্যের দর্শন প্রতিযোগিতায় ফেলে দিতে পারে টাইগার হিলকে। রাচেলা পিকের ভিউপয়েন্টে যেতে হলে আপাতত পর্যটকদের লাভা থেকে নেওড়া নর্থ রেঞ্জের সামনের জঙ্গলপথের মাধ্যমে গাড়ি করে পৌঁছতে হবে।
এই রাস্তায় ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে ট্রায়াল রান। গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের পক্ষ থেকে পর্যটকদের কিছু গাড়িকে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে রাচেলা পিকের ভিউপয়েন্টে যাওয়ার। নেওড়া ভ্যালির রাচেলা পিকের (Rachela Peak) উচ্চতা টাইগার হিলের থেকেও বেশি। রাচেলা ডান্ডার অবস্থান ভুটান, সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গের ত্রিবেণীতে। বন্যপ্রাণীদের অবাধ বিচরণ ক্ষেত্র নেওড়ার এই কোর এলাকা।
আরোও পড়ুন: ডবল ডোজ! তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড শান্তনু-আরাবুল, এবার যোগ BJP-তে?
পাহাড় ভেঙে ট্রেকিং করেই পৌঁছানো সম্ভব কোর এলাকায়। তবে আপাতত গাড়ি করে রাচেলা পিক পর্যন্ত যাওয়ার ব্যবস্থা করা গিয়েছে। গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের ডিএফও দ্বিজপ্রতিম সেন জানিয়েছেন, ‘এখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শনের অভিজ্ঞতা রোমাঞ্চকর ও স্বর্গীয় সুখলাভের সমান। যাঁরা টাইগার হিল থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখেছেন তাঁরাও রাচেলা ভিউপয়েন্টে এলে অবাক হবেন।’
ডিএফও আরো বলেন, ‘রাচেলা ভিউপয়েন্ট করা হয়েছে কোর এলাকার বাইরে। ১৪ ফেরি পর্যন্ত আগেই জিপ সাফারির অনুমতি ছিল। নেওড়ার রাচেলা ভিউপয়েন্ট থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার অপূর্ব রূপ দেখে আমরা রাজ্যকে চিঠি দিয়েছিলাম। রাজ্য বন দফতর সেখানে পর্যটকদের যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে। রাচেলা ভিউপয়েন্টে আপাতত কিছু পর্যটককে ট্রায়াল হিসেবে ঘোরানো হয়েছে। খুব শীঘ্রই আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে ভিউপয়েন্টের।’