বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শীঘ্রই কেন্দ্রীয়শাসিত অঞ্চল (Union Territory) হতে চলেছে উত্তরবঙ্গ (North Bengal), জোর গলায় এ কথা জানালেন দ্য গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের (GCPA) প্রধান অনন্ত রায় (Ananta Roy Maharaj)। প্রসঙ্গত, নেপালে রাজবংশি সম্প্রদায়ের অনুরোধে সিরুয়া উৎসবে যোগ দিতে এদিন দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে নেপাল পাড়ি দিলেন জিসিপিএ সুপ্রিমো। পড়শি রাজ্যে প্রবেশের পথে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন মহারাজ। সেখানেই দাবি করলেন উত্তরবঙ্গের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হওয়া আর কয়েকটা দিনের অপেক্ষা মাত্র।
ঠিক কী বললেন জিসিপিএ প্রধান? উত্তরবঙ্গ কী আলাদা রাজ্য হচ্ছে? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে অনন্ত মহারাজ বলেন, “স্বাধীনতার পর থেকে এখানে তেমন উন্নয়ন হয়নি। পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হলে অভূতপূর্ব উন্নতি হবে উত্তরবঙ্গের। আর আলাদা রাজ্য নিয়ে তো নতুন করে কিছু বলার নেই। এটাতো ফাইনাল হয়েই গিয়েছে। আলাদা রাজ্য হচ্ছে। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হবেই। এতে কোনও দ্বিমত নেই।”
জিসিপিএ সুপ্রিমোর এই মন্তব্যের পরই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য-রাজনীতিতে। প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয় এর আগেও বহুবার এই একই দাবি করে এসেছেন অনন্ত মহারাজ। তার কথায় উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের আওতায় আসতে চলেছে। তবে ঠিক কোন কোন জায়গা ঘিরে তার এই মন্তব্য সেকথা অবশ্য খোলসা করেননি জিসিপিএ প্রধান।
উল্লেখ্য, গতবছর নভেম্বরে শাহের ডেপুটি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্ৰতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামানিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। সেই সময় সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছিলেন, “মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলাম। অনেক কিছু নিয়েই আলোচনা হল। যেটা হবে সেটা দেখবেন। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল নিয়ে তো নতুন করে বলার কিছুই নেই। নতুন করে আলোচনারও তো কিছু নেই। আমার তো বিশ্বাস খুব তাড়াতাড়িই হচ্ছে।”
পাশাপাশি পূর্বে তিনি বলেছিলেন, খোদ কেন্দ্রীয় সরকার কোচবিহারকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার কথা দিয়েছে। মহারাজের এই মন্তব্যের পরই তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল উত্তরবঙ্গ সহ গোটা বাংলায়। আর এবারেও তার মুখে সেই একই কথা। অন্যদিকে, সম্প্রতি একাধিকবার এই দাবি নিয়ে রাজধানী সফরও করেছেন মহারাজ। কেন্দ্রীয় বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রীদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ হয় বলে খবর মিলেছিল। আর এবারে একেবারে পঞ্চায়েত ভোটের মুখে ফের সেই জল্পনাই যেন উস্কে দিলেন জিসিপিএ সুপ্রিমো। তবে কী সত্যিই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হওয়ার পথে অগ্রসর হচ্ছে সবুজে ঘেরা উত্তরবঙ্গ? উত্তরটা সময় দেবে।