নাগরিকত্ব সংশোধন বিল: সংসদে বিল পাশ হওয়ার আগেই উত্তাল উত্তর পূর্ব

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্ক : অনেক জল্পনার শেষে সোমবার সংসদে নাগরিকত্ব বিল পাশ হচ্ছে এমনটাই খবর ছিল অনেক আগে থেকেই তবে দীর্ঘদিন ধরে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরোধিতা করে এসেছে বিভিন্ন বিরোধী দলগুলি। সোমবার বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল টি সংসদে আলোচনা পর্ব শুরু হওয়ার অনেক আগে থেকেই সোমবার সকাল থেকে অসম সহ একাধিক রাজ্যে বিলের বিরোধিতা শুরু হয়।

এমনকী অল অসম স্টুডেন্টস ইউনিয়নের তরফ থেকে প্রতিবাদ মিছিল শুরু হয়েছে। শুধুমাত্র অসম নয় ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছে। তাই তো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়ন করা হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে।

যদিও আসুর তরফে বিরোধিতা করা হয়েছে কিন্তু অন্য দিকে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল সমর্থন করেছে। এক কথায় উত্তাল হয়েছে গোটা উত্তর পূর্ব কিন্তু এরই মধ্যে বিরোধীদের আপত্তি সত্ত্বেও সোমবার লোকসভার শীতকালীন অধিবেশন শুরু হওয়ার পর থেকে নাগরিকত্ব বিল নিয়ে প্রস্তাব শুরু করে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

ছয় দশকের পুরনো এই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে লোকসভায় আলোচনা শুরু হয়েছে। যেহেতু 1955 সালের নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী 14 বছরের মধ্যে এগারো বছর যাঁরা বিদেশ থেকে এ দেশে এসে বসবাস করছেন তার নাগরিকত্ব পাবেন এমনটাই ছিল কিন্তু নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের মধ্য দিয়ে 11 বছরকে কমিয়ে দিয়ে পাঁচ বছর ধরে যাঁরা বাংলাদেশ আফগানিস্তান পাকিস্তান থেকে বন্ধুরা এসে এ দেশে বসবাস করছেন তাঁরাই নাগরিকত্ব পাবেন। আর এটাই বিরোধের অন্যতম কারণ হয়ে উঠেছে।

উল্লেখ্য গত সপ্তাহের বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নাগরিক কত সংশোধনী বিলের খসড়া পেশ করেন তাই মন্ত্রিসভার ছাড়পত্র পাওয়ার পর লোকসভা ও রাজ্যসভার শীতকালীন অধিবেশনেই বিলটি পাশ করা নিয়ে কার্যত উঠে পড়ে লেগেছিল কেন্দ্র।

যদিও এনআরসি যখন চালু করা হয় ঠিক তখনই বিজেপি নেতৃত্বরা সিটিজেন শিপ অ্যামিউজমেন্ট বিল আনার দাবি জানিয়েছিল। যদিও বিরোধীদের একটাই দাবি নাগরিকত্ব বিল পাস হলে সংখ্যালঘু সমাজে বড়সড় অসন্তোষ দেখা দেবে। যার জেরে অনেক হিন্দু নাগরিকত্ব খুইয়ে শরণার্থীদের খাতায় নাম লেখাতে বাধ্য হবেন আর তাই এই বিল খারিজ নিয়ে দাবি জানাবে তৃণমূল।

X