বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চব্বিশের লোকসভা ভোটের ঠিক আছে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তাপস রায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দলের অন্যতম ‘পুরনো সৈনিক’দের মধ্যে একজন ছিলেন তিনি। তবে সেই সম্পর্কে ছেদ পড়েছে। বর্তমানে তিনি বিজেপির অংশ। উত্তর কলকাতা থেকে তাঁকে দাঁড় করিয়েছে গেরুয়া শিবির। এবার সেই তাপসই ভোটের ঠিক মুখে প্রাক্তন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নিলেন।
গত ২৩ মে উত্তর কলকাতার (North Kolkata) তৃণমূল প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে সভা করেছিলেন মমতা। সেখানে তাপসের (Tapas Roy) বিজেপিতে যোগদানের প্রসঙ্গে টেনে জিজ্ঞেস করেছিলেন, পালালেন কেন? ED-র ভয়ে? এবার তার পাল্টা দিলেন বিজেপি (BJP) নেতা। তাপস এদিন বলেন, ‘আমার বাড়িতে ED হানার পরেই আমি বিজেপিতে যোগ দিইনি। আমি ৫২ দিন সময় নিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও যখন দলের তরফ থেকে কোনও বিবৃতি এল না। কিন্তু বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী জলদস্যু শেখ শাহজাহানের পক্ষ নিলেন, সেদিনই আমি এই দল ছাড়ার কথা ঠিক করে নিয়েছিলাম’।
২৩ মে-র সভায় তাপসের নাম না নিয়েই তৃণমূল সুপ্রিমো বলেছিলেন, বিগত এক বছর ধরে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছিলেন তাপস। সেই ‘অভিযোগে’রও জবাব দিয়েছেন তাপস। তিনি বলেন, ‘সবাইকে নিজের মতো ভাববেন না। আপনি কতবার UPA-তে থেকে NDA-র সঙ্গে এবং NDA-তে থেকে UPA-র সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন, সেটা সবাই জানে’।
আরও পড়ুনঃ পার্থ, জ্যোতিপ্ৰিয়দের মতোই দশা! এই প্রথম শাহজাহানের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপের পথে ED
এরপর উত্তর কলকাতার তৃণমূল প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় আক্রমণ শানিয়ে তাপস বলেন, ‘উনি স্বাধীনতা সংগ্রাম করে জেলে যাননি। ওনার দুর্নীতির ইতিহাস রয়েছে। ৫০ বছর আগে ভুষি কেলেঙ্কারি থেকে শুরু করে রোজভ্যালি’! তাপসের এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল, অর্জুন সিং, শমীক ভট্টাচার্য সহ বিজেপির একাধিক তাবড় তাবড় নেতারা।
ওই সভায় দাঁড়িয়ে মমতাকে উদ্দেশ্য করে তাপস বলেন, ‘মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী আপনি প্রধানমন্ত্রীকে প্রাক্তন করতে চাইছেন। আপনি কবে প্রাক্তন হবেন, সেই দিন গুনতে থাকুন’। এদিকে বিজেপি প্রার্থীর এহেন মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘আমি এই মমতব্যের বিরোধিতা করছি। উনি কোনও কারণবশত দলবদল করেছেন। তবে সেটার জেরে এতদিন যে দল করেছেন, তার নেত্রী সম্পর্কে কু-কথা বলা অনৈতিক’।