বাংলাহান্ট ডেস্ক : দিবারাত্রই বিচিত্র সব কাণ্ডকারখানা ঘটে উত্তর কোরিয়ায়। সেখানকার স্বৈরাচারী শাসক কিম জন উনের রাজত্বকালে রীতিমতো নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড় সেখানকার বাসিন্দাদের। তার অদ্ভুত সব খেয়াল তিনি চাপিয়ে দেন নাগরিকদের উপর। আর সেসব নিয়ম সঠিক মতো পালন না করলেই নাগরিকদের কপালে জোটে ভয়ংকর সব শাস্তি। শুক্রবার কিম জন উনের এক বক্তব্য ঘিরে ফের হইচই শুরু হয়েছে পৃথিবী জুড়ে। তার বক্তব্য শুনে তাজ্জব হয়ে গেছেন চিকিৎসকেরাও।
গত দু’বছর সারা পৃথিবী যখন করোনা আক্রান্ত সেই সময় উত্তর কোরিয়ায় কেউ করোনা আক্রান্ত হয়নি বলে দাবি করেছিলেন কিম। কিন্তু কিছুদিন আগে জানানো হয় উত্তর কোরিয়ায় ভয়াবহ ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এমনকি প্রথমবারের জন্য প্রকাশ্যে মাস্ক পরে সামনে আসতে দেখা যায় উত্তর কোরিয়ার শাসককে।
শুক্রবার উত্তর কোরিয়া প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, এলিয়েন অথবা ভিনগ্রহী কোনও বস্তুর সংস্পর্শে এসে উত্তর কোরিয়ার বাসিন্দারা করোনা আক্রান্ত হতে শুরু করেছিলেন। পরোক্ষভাবে করোনা সংক্রমণের জন্য সেই দক্ষিণ কোরিয়াকে দায়ী করলো তারা। এই ধরনের অদ্ভুত তথ্য প্রকাশ করার পর প্রশাসন জানিয়েছে, সীমান্ত সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা বাতাস, বেলুন ও ভিনগ্রহী বেলুনের সাথে মোকাবিলা করার জন্য যেন প্রস্তুত থাকেন।
সূত্রের খবর, ১৮ বছর বয়সের এক সেনা ও পাঁচ বছর বয়সের এক শিশু দেশের পূর্বপ্রান্তে কুমগাং এলাকায় অচেনা এক বস্তুর সংস্পর্শে আসার পর তারা করোনা পজেটিভ হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এপ্রিল মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার কিছু কোরিয়ার সরকার বিরোধী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা শান্তি বার্তা দিয়ে কিছু বেলুন উড়িয়েছিল। আর সেই মাস থেকেই উত্তর কোরিয়ায় করোনার দাপট বাড়তে থাকে বলেই দাবি কিমের।