বাংলা হান্ট ডেস্ক: লাগাতার ভারী বৃষ্টির (Heavy Rain) জেরে উত্তর সিকিমে (North Sikkim) বিরাট প্রাকৃতিক বিপর্যয়। অব্যাহত ভূমিধসের কারণে ক্ষয়ক্ষতিও।এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে নতুন করে ধস (Land Slide) নেমেছে সিকিমে। যার ফলে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে সিকিমে। লাগাতার ভারী বৃষ্টিতে ধস নেমে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে, লিঙ্গি থেকে সিংটাম রোড কাউখোলা এবং সুন্তলি।
এই রাস্তায় যাতায়াত করার পরিস্থিতিতে নেই একেবারেই। উপরন্ত জায়গায় জায়গায় ভয়ঙ্কর বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে রাস্তাঘাট। পাহাড় থেকেই সমানে গড়িয়ে পড়ছে বালি আর পাথর। বিপদের আশঙ্কা করে ইতিমধ্যে সিকিম প্রশাসনের তরফ থেকে পর্যটকদের ওই রাস্তায় যেতে নিষেধ করা হয়েছে। এবিষয়ে সতর্কতা জারি করে প্রশাসনের তরফ থেকে পর্যটকদের বলা হয়েছে রুট পরিবর্তন করে কোথাও যেতে না পারলে, যে যেখানে রয়েছেন সেখানকার হোটেলেই যেন থেকে যান.
অন্যদিকে বিগত কয়েকদিন ধরেই লাগাতার মুষলধারায় বৃষ্টি হওয়ার কারণে কাজও করতে পারছে না প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা দল। অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে সিকিমের বহু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। অন্যদিকে সিকিমের মাঙ্গান জেলাতেও অবিরাম বৃষ্টিপাতের কারণে কমপক্ষে নিহত হয়েছেন ৬ জন। যার ফলে পাহাড়ের বুকেই ভয়ংকর পরিস্থিতিতে আটকে পড়েছেন প্রায় দেড় হাজার পর্যটক।
আরও পড়ুন: রিভিউ করেই খুলল কপাল, উচ্চ মাধ্যমিকে নম্বর বাড়ল একাধিক পড়ুয়ার
এরই মধ্যে বিপদ বাড়াচ্ছে সঙ্কলং-এ নবনির্মিত বেইলি ব্রিজ। গত রাতে ধস নামতেই ভেসে যায় এই গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজ। যার ফলে বিচ্ছিন্ন হয়েছে মঙ্গন, জংগু এবং চুংথাং যোগাযোগ। আগেই বলেছি ভূমিধস নামায় অবরুদ্ধ হয়েছে সিকিমের বহু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা, তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রচুর বাড়ি। প্রচন্ড জলের তোড়ে ভাসছে বিদ্যুতের খুঁটিও।
রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেওয়ায় গুরুদংমার লেক এবং ইয়ংথাং উপত্যকার মতো জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রগুলো তো বটেই বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে মঙ্গন জেলার জংগু, চুংথাং, লাচেন এবং লাচুং-এর মতো শহরগুলো।সিকিমের এই ভয়াবহ পরিস্থিতি সম্পর্কে মঙ্গনের জেলাশাসক হেম কুমার ছেত্রী জানিয়েছেন, পাকশেপ এবং আম্বিথাং গ্রামে তিনজন করে মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গেইথাং ও নামপাথাং-এর কয়েকটি বাড়ি। তাই গৃহহীনদের জন্য পাকশেপে একটি ত্রাণ শিবির-ও খোলা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।