বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘বীরভূমের বাঘ’ বলা হয় তাঁকে। বছর দুয়েক আগেও কেতুগ্রামে তাঁর ‘প্রভাব’ ছিল দেখার মতো। দুর্গাপুজোর আগে গরু পাচার মামলায় জামিন পেয়ে ঘরে ফিরেছেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। রবিবার সেই কেতুগ্রামেই তৃণমূল কংগ্রেসের দু’টি বিজয়া সম্মেলনীর অনুষ্ঠান ছিল। তবে একটিতেও দলীয় নেতাদের বক্তৃতায় শোনা গেল না কেষ্টর নাম। উল্টে কানে এল ‘কাজল কাজল’ রব। বীরভূমের রাজনীতিতে অনুব্রত-কাজলের সমীকরণের কথা কারোর অজানা নয়। ফলে স্বভাবতই এই নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।
নিজের গড়েই জমি হারাচ্ছেন অনুব্রত (Anubrata Mondal)?
বর্তমানে বীরভূমের জেলা সভাধিপতি কাজলকে কেতুগ্রামের দায়িত্ব দিয়েছে তৃণমূল (Trinamool Congress)। সম্প্রতি সেখানে যে দু’টি বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল, তার দায়িত্বে ছিলেন কাজলের দাদা তথা স্থানীয় বিধায়ক শেখ সাহানেওয়াজ। উপস্থিত ছিলেন ‘কেষ্ট ঘনিষ্ঠ’ হিসেবে পরিচিত বীরভূমের সাংসদ অসিত মাল। তবে দলের কোনও নেতার বক্তৃতাতেই অনুব্রতর তারিফ শোনা যায়নি।
সম্প্রতি কেতুগ্রামের ১ ব্লকের কান্দরা এবং কাটোয়া-কেতুগ্রাম রোডে পাঁচুন্দি মোড়ে তৃণমূলের বিজয়া সম্মেলনীর দু’টি সভা হয়। প্রথম সভায় উপস্থিত ছিলেন কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। দ্বিতীয়টিতে তিনি ছিলেন না। তবে এই দুই সভার মধ্যে কোনোটিতেই কেষ্ট-অনুগামীদের দেখা মেলেনি। উল্টে শুধুই শোনা গিয়েছে কাজলের (Kajal Sheikh) নাম।
আরও পড়ুনঃ ফের নয়া ঘূর্ণাবর্ত? দানা দুর্বল হতেই আবহাওয়ার বড় বদল! কালীপুজোর আগেই মেগা আপডেট IMD-র
এই বিষয়ে কেতুগ্রাম ১ ব্লকের কিছু তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী বলেন, জোর করে দলের কর্মীদের ওই দুই সভায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে প্রশ্ন করেন, অনুব্রত (Anubrata Mondal) না থাকলে শেখ সাহানেওয়াক, অসিত মালকে কে চিনত? তাঁদের কথায়, ‘যতই চেষ্টা করুন না কেন, কেষ্টদার গড়ে কাজল দাঁড়াতে পারবেন না। বিজয়া সম্মেলনীতে কেষ্টদার নাম না নেওয়ায় আমাদের খারাপ লেগেছে’।
এদিকে জোর করে সভায় নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছে শেখ সাহানেওয়াজের শিবির। কাটোয়া-কেতুগ্রাম রোডে পাঁচুন্দি মোড়ের সভা থেকে সাহানেওয়াজ বলেন, ‘আপনারা যার নাম সবসময় শোনেন, সেই কাজল শেখ, আমার ভাই। খুব লড়াকু, গরিব দরদী, দুর্ধর্ষ নেতা। সম্পূর্ণ বীরভূমে জেলা এবং কেতুগ্রাম, আউশগ্রাম, মঙ্গলকোটের মানুষ, যুব সম্প্রদায়, মা, ভাই-বোনেরা এক ডাকে তাঁকে কাজল নামে চেনে। কাজল মানুষের পাশে দাঁড়াতে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়তে জানে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে ভীষণ ভালোবাসেন বলেই বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতির দায়িত্ব দিয়েছেন’।