বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শনিবার থেকে ফের সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University)। গতকাল ওয়েবকুপার বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে সেখানে গিয়েছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। সেখানে গিয়ে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। সেখান থেকেই অশান্তি শুরু হয়। অভিযোগ ওঠে, শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি দিয়ে পিষে দেওয়া হয়েছে এক পড়ুয়াকে। এবার সেই গাড়ি নিয়েই বিরাট দাবি করল এসএফআই (SFI)।
ব্রাত্য (Bratya Basu) নন, ‘ওই’ গাড়ির আসল মালিক কে?
গতকাল শিক্ষামন্ত্রীর যে গাড়ি দিয়ে যাদবপুরের পড়ুয়াকে পিষে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, সেটির নম্বর ছিল WB25L7195। সরকারি বাহন ওয়েবসাইটে সার্চ করে দেখা যাচ্ছে, ওই গাড়ির মালিকের নামের যে ইঙ্গিত রয়েছে, সেটা তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ হলেও হতে পারেন।
এক্ষেত্রে বলে রাখি, সরকারি বাহন ওয়েবসাইটে গাড়ির মালিকের পুরো নাম দেওয়া থাকে না। কিছু অক্ষর বাদ দিয়ে সেই নাম তুলে ধরা হয়। একইসঙ্গে ওই ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর ওই গাড়ির পলিউশন সার্টিফিকেটের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। এই তথ্য তুলে ধরে এসএফআই দাবি করেছে, ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu) গাড়ি যাদবপুর ক্যাম্পসে দূষণ ছড়িয়েছে।
আরও পড়ুনঃ যাদবপুরে আহত বামপন্থী ছাত্রের বাবা তৃণমূল নেতা! ছেলের ঘটনায় কী বলছেন পিতা?
এখানেই শেষ নয়! গতকালের ঘটনার জন্যে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকেই দায়ী করেছে বামপন্থী ওই ছাত্র সংগঠন। তাদের দাবি, পড়ুয়ারা কোনও হিংসা করেননি। বরং শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়ি একজন পড়ুয়াকে পিষে দিয়েছে।
এদিকে ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) গতকাল যে গাড়ি করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়েবকুপার বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়েছিলেন সেখানে পশ্চিমবঙ্গ সরকার লেখা ছিল বলে খবর। এখন গাড়ির মালিকের নাম সামনে আসতেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি রাজ্য সরকারের কাছে কি কুণালের গাড়ি ভাড়া খাটে?