বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ৭ এপ্রিলের মধ্যে জমা দিতে হবে রিপোর্ট। এবার সময়সীমা বেঁধে এই নির্দেশ দিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) যুগ্ম কমিশনারকে (ক্রাইম) এই রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ (Justice Tirthankar Ghosh)। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।
কোন মামলায় এই নির্দেশ দিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)?
জানা যাচ্ছে, গত ১২ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে কলকাতার বেহালায় একটি পথ দুর্ঘটনা ঘটে। একটি গাড়ি ধাক্কা মারে মোটর সাইকেল আরোহীকে। অভিযোগ, এই নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্ট অবধি। উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন ওই মোটর সাইকেল আরোহীর পরিবার। এবার সেই মামলাতেই কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনারের (ক্রাইম) রিপোর্ট তলব করলেন বিচারপতি ঘোষ।
এদিন মামলার শুনানি চলাকালীন রাজ্যের আইনজীবী বলেন, ‘ডায়মন্ড হারবার রোডের ওই অংশে সিসিটিভি ফুটেজ নেই। অন্য যে ফুটেজের সাহায্য নেওয়া হয়েছিল, সেখানেও কিছু পরিষ্কার ছিল না। ২ জন তদন্তকারী অফিসার বদল করা হয়েছে। ২ কিমি ধরে সিসিটিভি নেই’।
আরও পড়ুনঃ সুপ্রিম-সমালোচনার পরেই বড় সিদ্ধান্ত! ‘এই’ আইন বদলাল কলকাতা হাইকোর্ট! জোর শোরগোল
জানা যাচ্ছে, বেহালার ওই বিস্তীর্ণ অংশে সিসিটিভি নেই শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেন জাস্টিস ঘোষ। তিনি বলেন, কলকাতা পুলিশের অধীন সিসিটিভি নেই! সিসিটিভি আদৌ আছে কিনা সেই নিয়ে রিপোর্ট দিতে হবে। আপনারা সিস্টেম আপগ্রেড করছেন না কেন? জিজ্ঞেস করেন হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি। রাজ্যের তরফ থেকে পাল্টা জানানো হয়, এই ঘটনার তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলা হয়েছে। ওই তরুণের সঙ্গে কী ঘটেছে সেটা জানতে চাওয়া হয়েছে। উচ্চ আধিকারিকের থেকে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।
একথা শুনে বিচারপতি ঘোষ বলেন, সিসিটিভি মনে হয় আছে। ১০ বছর আগে কলকাতার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বেহালা। ওটা বেহালা এসবিআইয়ের রাস্তা। আপনাদের কাছে সিসিটিভি ফুটেজ নেই, এদিকে রিপোর্ট চাইছেন, এটা কীভাবে হয়?
রাজ্য জানায়, কথা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ওখানে দোকানগুলি যে অবস্থায় আছে, তাতে সিসিটিভি বসানো সম্ভব নয়। ট্র্যাফিক সিগন্যালের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। একথা শোনার পর হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ, ওখানে কেন সিসিটিভি নেই, জয়েন্ট কমিশনারকে রিপোর্ট দিতে হবে। অফিসার ইনচার্জ যে রিপোর্ট দিয়েছেন, সেখানে দেখা গিয়েছে কোনও সিসিটিভি ফুটেজ নেই। তাঁকে ব্যাখ্যা দিতে হবে, নির্দেশ বিচারপতির।