বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে যুগের সাথে পাল্লা দিয়ে এমন সব জিনিস আবিষ্কার করা হচ্ছে যেগুলি রীতিমতো চমকে দিচ্ছে সবাইকেই। শুধু তাই নয়, দৈনন্দিন জীবনে সেই আবিষ্কৃত বিষয়গুলিকে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর চেষ্টাও করা হচ্ছে। এমনিতেই, বিশ্বজুড়ে পেট্রোল-ডিজেলের (Petrol-Diesel) ক্রমবর্ধমান দাম প্রত্যেকের কাছেই চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমতাবস্থায়, বিকল্প জ্বালানির প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন সকলেই।
ভুলে যান পেট্রোল-ডিজেল (Petrol-Diesel):
যার ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই বিষয়ে প্রতিনিয়ত গবেষণা করা হচ্ছে। এমনকি, সরকারের তরফেও নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন পদক্ষেপ। এমনিতেই যানবাহণ চলাচলের ক্ষেত্রে সমগ্র বিশ্বজুড়েই এখন সব থেকে বেশি ব্যবহার করা হয় পেট্রোল এবং ডিজেল (Petrol-Diesel)। কিন্তু, বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা আপনাদের কাছে এমন একটি বিষয় উপস্থাপিত করব যেটি সম্পর্কে জানার পর অবাক হবেন প্রত্যেকেই।
মূলত, এবার জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যাবে মানুষের প্রস্রাবও! প্রথমে বিষয়টি পড়ে অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটা কিন্তু একদমই সত্যি। জানিয়ে রাখি যে, পেট্রোল বা ডিজেলের (Petrol-Diesel) জোগানের ঘাটতির সম্ভাবনা থাকলেও প্রস্রাব এমন একটি জিনিস যার অভাব হবে না। এমতাবস্থায়, আজ আমরা আপনাদের কাছে এমন একটি বিশেষ ট্র্যাক্টরের সম্পর্কে জানাবো যেটি চালানোর জন্য প্রয়োজন হয় প্রস্রাবের।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, আমেরিকান কোম্পানি Amogy কিছু সময় আগে এমন একটি ট্র্যাক্টর প্রস্তুত করেছে যেটি অ্যামোনিয়াতে চলতে পারে। এদিকে, মানুষের প্রস্রাবে প্রচুর পরিমাণে অ্যামোনিয়া থাকে। তাই এই সংস্থাটি এমন একটি অনন্য উপায় গ্রহণ করেছিল যেটিতে তারা সফল হয়েছে। যার মাধ্যমে ওই সংস্থাটি প্রস্রাবের সাথে ট্র্যাক্টর চালাতে সক্ষম হয়েছে।
আরও পড়ুন: শেষ হবে দীর্ঘ ১,৩০০ দিনের অপেক্ষা! পন্থের পাশাপাশি টেস্টে প্রত্যাবর্তন ভারতের এই তারকা প্লেয়ারের
পরিবেশ দূষিত হবে না: জানিয়ে রাখি যে, পেট্রোল ও ডিজেলে (Petrol-Diesel) ট্র্যাক্টর চালানোর ফলে পরিবেশ দূষিত হয়। তবে মূত্র বা অ্যামোনিয়ার সাহায্যে ট্র্যাক্টর চালানোর ক্ষেত্রে তেমন কোনও সমস্যা নেই। প্রস্রাবের ওপর চলমান ট্র্যাক্টর কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ করে না। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এক্ষেত্রে এনার্জি ডেনসিটি অত্যন্ত বেশি থাকে।
আরও পড়ুন: খেল খতম বাংলাদেশের! চেন্নাই টেস্টের আগে রোহিতের মাস্টারস্ট্রোক, করা হচ্ছে “বিশেষ পরিকল্পনা”
আসলে প্রস্রাব অ্যামোনিয়ায় রূপান্তরিত হয় এবং তা থেকে শক্তি উৎপন্ন করা যায়। Amogy কোম্পানি এমন একটি রিয়েক্টার তৈরি করেছে যা অ্যামোনিয়া ভেঙে হাইড্রোজেন ব্যবহার করে শক্তি উৎপাদন করে। এরপরে তরল অ্যামোনিয়া কয়েক ঘন্টা ধরে জ্বালানির কাজ করতে পারে। এর মানে হল প্রস্রাবের মাধ্যমে চলা ট্র্যাক্টর কার্বন নির্গত করে না এবং পরিবেশকে কোনও ভাবেই দূষিত করে না।