বাংলাহান্ট ডেস্ক: বলিউড (Bollywood) মানেই ধনী অভিনেতাদের আখড়া। এখানে ছবি তৈরি হয় কোটি টাকায়, অভিনেতা অভিনেত্রীদের পারিশ্রমিকের অঙ্কটাও হয় কোটিতে। বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সবথেকে ধনী অভিনেতা শাহরুখ খান (Shahrukh Khan), সলমন খান (Salman Khan), আমির খান, অক্ষয় কুমার। তাই সবথেকে বেশি পারিশ্রমিক কে নেন, এই প্রশ্নটা উঠলেও এঁদের নাম সর্বাগ্রে আসাটাই স্বাভাবিক। তবে জানলে অবাক হবেন, এই বলিউডেই এমন একজন অভিনেতা রয়েছেন যাঁর পারিশ্রমিকের কাছে এঁরা নস্যি।
সিনেমার বাজেটের অর্ধেকের বেশিটাই প্রথম সারির নায়কদের পকেটে ঢোকে বলে শোনা যায়। কোটি টাকার নীচে কথাই বলেন না তাঁরা। কিন্তু বলিউডে সবথেকে বেশি পারিশ্রমিক নেওয়া অভিনেতা কিন্তু শাহরুখ বা সলমন কেউই নন। তিনি দিলীপ কুমার। এই সুপারস্টার অভিনেতা একে একটি ছবির জন্য যা পারিশ্রমিক নিতেন তার ধারেকাছেও আসতে পারবেন না খান অভিনেতারা।
পঞ্চাশ ষাটের দশকের দিলীপ কুমারই ছিলেন ‘বাদশা’। তাঁর সঙ্গে অভিনয় করার জন্য মুখিয়ে থাকতেন নায়িকারা। পাঁচ দশক ধরে বলিউডে অগুনতি হিট ছবি উপহার দিয়ে গিয়েছেন দিলীপ কুমার। ‘ট্র্যাজেডি কিং’ তকমা পাওয়া সুপারস্টার অভিনেতার পারিশ্রমিকের অঙ্ক শুনলে চমকে যাবেন।
সূত্রের খবর মানলে, এক একটা ছবির জন্য প্রায় লাখ টাকা পারিশ্রমিক ধার্য করা হল দিলীপ কুমারের। ওই সময়ের নিরিখে লাখ টাকা যে অনেক সেটা নতুন করে বলতে হয় না। তাই দিলীপ কুমারকে নিজের ছবিতে কাস্ট করার ইচ্ছা থাকলেও কয়েক বার ভাবতে হত প্রযোজকদের।
১৯৪৪ সালে ‘জোয়ার ভাঁটা’ ছবির হাত ধরে বলিউডে পা রেখেছিলেন দিলীপ কুমার। তাঁর সময়ে তিনিই ছিলেন সবথেকে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেতা। অবশ্য দিলীপ কুমারের অভিনয় দক্ষতার কথা মাথায় রেখে ওই অঙ্কের টাকা দিতে রাজিও হয়ে যেতেন অনেক প্রযোজক।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৭ জুলাই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন দিলীপ কুমার। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৮ বছর। দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন অভিনেতা। স্বামীর মৃত্যুসংবাদ শোনার মুহূর্ত থেকে শোকস্তব্ধ হয়েছিলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী তথা দিলীপ জায়া সায়রা বানু। স্বামীর মৃত্যু সংবাদ শুনে সায়রা বানু প্রথম বলেছিলেন, “ভগবান আমার বেঁচে থাকার কারণটাই কেড়ে নিল। সাহাবকে ছাড়া তো আমার জীবন অর্থহীন। আমি কিছু ভাবতেই পারছি না। দয়া করে সকলে প্রার্থনা করুন”।