বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আর জি কর ইস্যুতে টালমাটাল অবস্থায় রাজ্য (Government of West Bengal)। দিকে দিকে বাড়ছে ক্ষোভ, উপচে পড়ছে প্রতিবাদ। আর করের (RG Kar) নির্যাতিতার বিচারের দাবি জানিয়ে রাস্তায় নেমেছে সকল শ্রেণীর মানুষ। প্রতিবাদে সামিল হয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ সরকারি কর্মীরাও।
এই আবহে প্রশাসন ও পুলিশ সেক্টরে বড়সড় ঝাকুনি দিতে সোমবার ৯ সেপ্টেম্বর নবান্ন (Nabanna) সভাগৃহে হাইভোল্টেজ প্রশাসনিক বৈঠকের ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। উপস্থিত থাকবেন মন্ত্রিসভার সব সদস্য, সবকটি দপ্তরের সচিব-সহ বিশেষ সচিব পর্যায়ের সকলে। রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, এডিজি আইন শৃঙ্খলা মনোজ ভার্মা, কলকাতা পুলিশের নগরপাল বিনীত গোয়েলও সহ অনেকেই।
সরকারি কর্মীদের জন্য কড়া নির্দেশিকা জারি (Government of West Bengal)
সোমবার রয়েছে নবান্ন বৈঠক। তার আগে শনিবারই একটি নির্দেশিকা জারি করে দিল রাজ্য সরকার। নবান্ন তরফে জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং সাধারণ মানুষকে সরকারি পরিষেবা দেওয়ার কাজ দ্রুততার সঙ্গে করতে হবে। সঠিকভাবে কাজ করতে হবে। নানা বাহানা দিয়ে সরকারি কর্মচারীদের অফিসে অনুপস্থিত থাকা বা কাজে ফাঁকি দেওয়া কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।
বিজ্ঞপ্তিতে নিয়ম মনে করিয়ে আরও বলা হয়েছে অফিসে অনুপস্থিত থাকা বা কাজে ফাঁকি দিলে তা সার্ভিস রুলের লঙ্ঘন হিসাবেই দেখা হবে। বলা হয়েছে এমনিতেই চার মাস ভালো করে কাজ হয়নি। লোকসভা ভোটের কারণে এমনিতেই কাজকর্মে ধীর গতি এসেছে। তার উপর কিছু সময়ে বাংলার বেশ কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগেরও ঘটনা ঘটেছে। সবমিলিয়ে গত চার মাস ঠিক ভাবে কাজ হয়নি সরকারি দপ্তরে।
সরকারি নির্দেশ, এবারে সকলকে সক্রিয়ভাবে কাজে ফিরতে হবে। কাজে গতি আনতে হবে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, পরিকাঠামো নির্মাণের কাজ সঠিকভাবে দ্রুততার সাথে করতে হবে। পাশাপাশি গ্রামীণ আবাস, গ্রামীণ কর্মসংস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পানীয় জল সরবরাহ এসবের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে দ্রুত পরিষেবা পৌঁছে দিতে হবে। প্রান্তিক মানুষ যাতে সরকারি সুবিধা সঠিকভাবে পায় সেইদিকে নজর দিতে হবে।
আরও পড়ুন: পেনশন ব্যবস্থায় বড় বদল আনল রাজ্য সরকার, পুজোর আগেই সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর
আর জি কর অবহে সরকারি তরফে এই বিজ্ঞপ্তি জারি হতেই শুরু হয়েছে জোর চর্চা। নবান্নের কর্তাদের মতে, আর জি কর কাণ্ডে সরকারের সাথে সাধারণ মানুষের যে বিচ্ছিন্নতা তৈরী হয়েছে তা দূর করতে এবং প্রশাসনের উপর আস্থা বাড়াতেই এই পদক্ষেপ। যদিও সরকারি কর্মীদের একাংশের মতে আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে যে আন্দোলন চলছে তা দমাতেই সরকারি কর্মীদের কাজে জোর দেওয়ার এই বিজ্ঞপ্তি।