বাংলাহান্ট ডেস্ক : আজব রাজনৈতিক পরিস্থিতি চলছে বাংলায়। একদিকে ইডি-সিবিআই মাঝে মধ্যেই ডেকে পাঠাচ্ছে শাসক দলের তাবড় নেতা মন্ত্রীদের। অন্যদিকে দুর্নীতির অভিযোগ উঠে আসছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পরিবারের তিন ভাইয়ের বিরুদ্ধেই। শ্মশান দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার সৌমেন্দু অধিকারীর (Soumendu Adhikari) প্রাক্তন গাড়ির চালক, অপরদিকে আর্থিক দুর্নীতি কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কাঁথি থানা থেকে নোটিস দিয়ে ডেকে পাঠানো হলো শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দাদা কৃষ্ণেন্দু অধিকারী (Krishnendu Adhikari) ও ভাই তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর স্ত্রী সুতপা অধিকারীকে।
জানা যাচ্ছে, শ্মশানে স্টলের বন্টন নিয়ে দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন পুরপ্রধান সৌমেন্দু অধিকারীর গাড়ির চালক গোপাল সিংকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে কাঁথি থানার পুলিশ। অভিযুক্ত গোপাল সিং দীর্ঘদিন সৌমেন্দুর গাড়ি চালাত। পুরসভার কর্মীও ছিল সে। সূত্রে খবর গোপাল সিংয়ের সঙ্গে আলোক সাউ নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এখনও পর্যন্ত শ্মশান দুর্নীতিতে মোট ৪ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এদিকে কাঁথি কলেজ সংলগ্ন রাঙামাটি শ্মশানের জায়গায় স্টল নির্মাণে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে কাঁথি থানা থেকে নোটিস পাঠানো হল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাদা কৃষ্ণেন্দু অধিকারী ও ভাই তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর স্ত্রী সুতপা অধিকারীকে। এই মামলায় আগেই নাম জড়িয়েছিল শুভেন্দুর ছোটভাই প্রাক্তন চেয়ারম্যান সৌমেন্দুর।
কাঁথি কলেজ লাগোয়া রাঙামাটি শ্মশানের জায়গা জবরদখল করে স্টল তৈরিতেও হয়েছে দুর্নীতি। এই অভিযোগে বর্তমান কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান পুরপ্রধান সুবল কুমার মান্না গত ২৯ জুন কাঁথি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয় স্টল নির্মাণকারী ঠিকাদার সংস্থার কর্ণধার সতীনাথ দাস অধিকারী এবং কাঁথি পুরসভার সহকারী ইঞ্জিনিয়ার দিলীপ বেরাকে। টানা সাতদিন পুলিশ হেফাজতে ছিলেন তাঁরা। এরপর গত কয়েকদিন আগেই সতীনাথ দাসের শর্ত সাপেক্ষে জামিন হয়। তবে সহকারী ইঞ্জিনিয়ার দিলীপ বেরাকে আবারও ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় কাঁথি মহকুমা আদালত।
এর পর সৌমেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার করতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। জানা যাচ্ছে, সৌমেন্দু অধিকারী কলকাতা হাই কোর্টে আগাম জামিনের জন্য আবেদন করেছেন। আদালত আগামী বুধবার পর্যন্ত তাঁকে গ্রেপ্তার না করার নির্দেশ দেয়। বুধবার আবারও হবে এই মামলার শুনানি। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, তদন্তের জন্য এখনও পর্যন্ত প্রায় আটজনকে নোটিস পাঠিয়েছেন কাঁথি থানার তদন্তকারী অফিসার। তার মধ্যে রয়েছেন অধিকারী বাড়ির বড় ছেলে কৃষ্ণেন্দু অধিকারী এবং তমলুকের সাংসদের স্ত্রী সুতপা অধিকারী। তবে কৃষ্ণেন্দু অধিকারী প্রত্যক্ষ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন বলেই জানা যাচ্ছে।