বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কেন্দ্রীয় হারে ডিএ- র (DA) দাবিতে বহুদিন ধরে আন্দোলন চালাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা (State Government Employees)। যদিও এখনও সুরাহা হয়নি। আইনি জটে আটকে রয়েছে রাজ্যের ডিএ মামলা। ওদিকে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়া সম্ভব নয় বলে সাফ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যা নিয়ে ক্রমশই অসন্তোষ বাড়ছে সরকারি কর্মীদের। এই দিকে এই আবহেই সরকারি কর্মীদের নিয়ে ফের কড়াকড়ি রাজ্যের।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচন। হাতে মাত্র দু সপ্তাহ। সরকারি কর্মীদের ভোটের ডিউটিতে নিযুক্ত করা হয়। বেশ কিছু জায়গায় সরকারি কর্মীদের প্রশিক্ষণও শুরু হয়েছে গিয়েছে। তবে জানা যাচ্ছে ভোটের ডিউটি না করতে চেয়ে ইতিমধ্যেই বহু সরকারি কর্মচারী আবেদন জমা করেছেন। আর এবার সেই পরিস্থিতি সামাল দিতেই বীরভূম জেলা প্রশাসন জারি করেছে এক নির্দেশিকা।
কী বলা হয়েছে সেই নির্দেশিকায়? সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, যদি কোনও সরকারি কর্মচারী শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ভোটের ডিউটি বা করতে চান, তাহলে সেই কর্মচারী নিজের অফিসের কাজেও যোগ দিতে পারবেন না। একটু খুলে বললে, যদি কোনো সরকারি কর্মী ভোটের ডিউটিতে না যান তাহলে সেই সময় তিনি নিজের অফিসে যাওয়ারও অনুমতি পাবেন না।
অর্থাৎ ভোটের ডিউটি চলাকালীন ওই সরকারি কর্মীকে নিজের ছুটি খরচা করতে হবে। সরকারি কর্মীকে নিজের জমে থাকা ছুটি খরচ করতে হবে। এক্ষেত্রে বিপদে পড়বেন সেই সমস্ত কর্মীরা যাদের কাছে আর পর্যাপ্ত ছুটি মজুত নেই। কারণ যদি পর্যাপ্ত ছুটি না থাকে তাহলে এক্ষেত্রে ওই কর্মীর বেতন কাটা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: সারপ্রাইস! ডায়মন্ড হারবারে অভিষেকের বিরুদ্ধে BJP-র মাস্টারস্ট্রোক, প্রার্থী হচ্ছেন…
বীরভূমের জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ভোটের ডিউটি থেকে অব্যাহতি চেয়ে ইতিমধ্যেই বহু আবেদন জমা পড়েছে। এক্ষেত্রে মেডিক্যাল বোর্ড ‘আনফিট’ বললে তবেই সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মীকে ছাড় দেওয়া হবে। তবে ‘আনফিট’ ওই সরকারি কর্মী ভোটগ্রহণের দিন পর্যন্ত নিয়মিত নিজের কাজে যেতে পারবেন না। শুধু তাই নয়, ভোট মেটার পর ওই ‘আনফিট’ ঘোষিত কর্মীকে ‘ফিট’ সার্টিফিকেট নিলে তবেই আগের মতো কাজে যোগ দিতে পারবেন। যা সার্ভিস বুকে লিপিবদ্ধকরণ হবে। প্রশাসনের এই নয়া ঘোষণায় রীতিমতো ক্ষোভে ফুঁসছেন বীরভূমের সরকারি কর্মীরা।