বাংলা হান্ট ডেস্ক: অনিল আম্বানির (Anil Ambani) রিলায়েন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড (Reliance Infrastructure Limited) এবং আদানি ট্রান্সমিশন লিমিটেডের (Adani Transmission) মধ্যে চলা বিরোধ এবার ক্রমশ গভীর হচ্ছে। ইতিমধ্যেই, রিলায়েন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড অভিযোগ জানিয়েছিল যে, আদানি গ্রূপের অন্তর্গত আদানি ট্রান্সমিশন মুম্বাই পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশনের ব্যবসা বিক্রির ক্ষেত্রে চুক্তির শর্তাবলী যথাযথভাবে মেনে চলে নি। এমতাবস্থায়, আদানি ট্রান্সমিশন লিমিটেডের বিরুদ্ধে ১৩,৪০০ কোটি (১.৭ বিলিয়ন ডলার) টাকার আরবিট্রেশন দাবি করা হয়েছে।
একটি নিয়ন্ত্রক ফাইলিংয়ে, রিলায়েন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার জানিয়েছে যে, তারা মুম্বাই সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল আরবিট্রেশন (MCIA)-এর কাছে এই বিষয়ে একটি মধ্যস্থতা দাবি করেছে। কোম্পানির অভিযোগ, মুম্বাই পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবসার স্থানান্তর সংক্রান্ত বিষয়ে আদানি ট্রান্সমিশনের সাথে ২০১৭-র ডিসেম্বর মাসে শেয়ার ক্রয় চুক্তির বিষয়ে শর্তাবলী লঙ্ঘিত হয়েছে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, মুম্বাই ইন্টারন্যাশনাল আরবিট্রেশন সেন্টার (MCIA) বাণিজ্যিক বিরোধগুলির নিষ্পত্তির করতে সহায়তা করে।
এখন এই চুক্তির কি হবে: রিলায়েন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের ফাইলিংয়ে বলা হয়েছে, এর পিছনে আর্থিক প্রভাবগুলিকে এখন নিশ্চিত করা যাবে না। পাশাপাশি, চুক্তিটি এখন আরবিট্রেশনের চূড়ান্ত ফলাফল এবং পরবর্তী আইনি চ্যালেঞ্জগুলির উপর নির্ভরশীল রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য যে, রিলায়েন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচারের বর্তমান অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। শুক্রবার, রিলায়েন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচারের শেয়ার বিএসইতে ৯.৯০ শতাংশ কমে ১৬২.৪৫ টাকায় বন্ধ হয়েছে। যেখানে আদানি ট্রান্সমিশনের শেয়ার ০.১৮ শতাংশ বেড়ে ৩,৯৩১.৬৫ টাকা হয়েছে।
চুক্তিটি ২০১৭ সালে স্বাক্ষরিত হয়েছিল: ২০১৭ সালে আদানি গ্রুপ ১৮,৮০০ কোটি টাকার চুক্তিতে রিলায়েন্স ইনফ্রা (তৎকালীন রিলায়েন্স এনার্জি)-র মুম্বাইয়ের বিদ্যুৎ ব্যবসা অধিগ্রহণ করেছিল। যার মধ্যে উৎপাদন, বিতরণ এবং ট্রান্সমিশন অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই চুক্তি আদানি গ্রুপকে পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবসায় পা রাখতেও সাহায্য করে। এরপরে আদানি গ্রুপ বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি ট্রান্সমিশনের জন্য বিখ্যাত হয়ে ওঠে।
শুধু তাই নয়, বর্তমানে আদানি ট্রান্সমিশন ভারতের বৃহত্তম বেসরকারি সেক্টরের ট্রান্সমিশন এবং পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি হিসেবেও বিবেচিত হয়। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, মুম্বাইতে রিলায়েন্স এনার্জির প্রায় ৩০ লক্ষ গ্রাহক ছিল। এই চুক্তিটি রিলায়েন্স ইনফ্রাকে তার ১৫,০০০ কোটি টাকার ঋণ পরিশোধ করতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি, অধিগ্রহণের পরেও সংশ্লিষ্ট সংস্থাটির কাছে আরও ৩ হাজার কোটি টাকা থাকত।