বাংলা হান্ট ডেস্ক: কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, NIA (National Investigation Agency, NIA) এবার একটি বড়সড় ঘোষণা করেছে। জানা গিয়েছে, আন্ডারওয়ার্ল্ড গ্যাংস্টার দাউদ ইব্রাহিম (Dawood Ibrahim) এবং তার “ডি-কোম্পানি” (D-Company)-র সাথে জড়িত সদস্যদের সন্ধান পাওয়ার আশায় এবার নগদ পুরস্কার ঘোষণা করেছে NIA। যার পরিমান শুনলে রীতিমতো চমকে উঠবেন। মূলত, আন্ডারওয়ার্ল্ড গ্যাংস্টার দাউদ ইব্রাহিমের জন্য ২৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে NIA-এর তরফে।
এই প্রসঙ্গে গত বুধবার NIA জানিয়েছে যে, দাউদ ইব্রাহিম তার সহযোগীদের সঙ্গে নিয়ে অস্ত্র, বিস্ফোরক, ওষুধ এবং জাল ভারতীয় মুদ্রার নোট (এফআইসিএন) পাচারের জন্য ভারতে একটি ইউনিট তৈরি করেছে। পাশাপাশি, পাকিস্তানি এজেন্সি এবং সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির সাথে একত্র হয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলা চালানোর পরিকল্পনাও করছে।
দাউদ ছাড়াও এদের উপরেও পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে: সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর মতে, NIA দাউদ ইব্রাহিমের ভাই আনিস ইব্রাহিম ওরফে হাজি আনিসের খোঁজের জন্যও পুরস্কার ঘোষণা করেছে। এছাড়াও, দাউদ ঘনিষ্ঠ সহযোগী জাভেদ প্যাটেল ওরফে জাভেদ চিকনা, শাকিল শেখ ওরফে ছোটা শাকিল এবং ইব্রাহিম মুশতাক আবদুল রাজ্জাক মেমন ওরফে টাইগার মেমনের খোঁজেও পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। জানিয়ে রাখি যে, দাউদ ইব্রাহিমের খোঁজের জন্য পুরস্কারের পরিমান হল ২৫ লক্ষ টাকা। অপরদিকে, তদন্তকারী সংস্থাটি ছোটা শাকিলের জন্য ২০ লক্ষ টাকা এবং আনিস, চিকনা ও মেমনের সন্ধানের জন্য ১৫ লক্ষ টাকার ঘোষণা করেছে।
দাউদের বিরুদ্ধে মুম্বাই সিরিয়াল ব্লাস্ট সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে: এমতাবস্থায়, NIA দাবি করেছে যে, বর্তমানে দাউদ পাকিস্তানের করাচিতে রয়েছে। এদিকে, দাউদ ইব্রাহিম, ১৯৯৩ সালের মুম্বাই সিরিয়াল ব্লাস্ট সহ ভারতে বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। যার ফলে ইতিমধ্যেই এই আন্ডারওয়ার্ল্ড ডনের জন্য ২৫ মিলিয়নের পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। ২০০৩ সালে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ এই পুরস্কার ঘোষণা করেছিল।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, লস্কর-ই-তৈবা (এলইটি) প্রধান হাফিজ সাইদ, জইশ-ই-মোহাম্মদ (জেএম) প্রধান মাওলানা মাসুদ আজহার, হিজবুল মুজাহিদিনের প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ সালাহউদ্দিন এবং তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী আবদুল রউফ আসগরের সাথে দাউদ ইব্রাহিমও ভারতের “মোস্ট ওয়ান্টেড” ব্যক্তিদের তালিকায় রয়েছে।