বিশ্বের দরবারে ভারতীয় সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ! আঙ্করভাট মন্দিরের সংস্কার করবে ভারত

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারতীয় সংস্কৃতি (Indian Culture) যে শুধুমাত্র ভারতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে তা কিন্তু নয়। বরং, ভারতের বাইরেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রয়েছে প্রাচীন ভারতীয় সভ্যতার নিদর্শন। এমতাবস্থায়, ভারতীয় সংস্কৃতিকে বিশ্বের দরবারে আরও ভালোভাবে পৌঁছে দিতে ইতিমধ্যেই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে, এবার কম্বোডিয়ায় (Cambodia) স্থিত বিশ্বের সবচেয়ে বড় হিন্দু মন্দির আঙ্করভাট (Angkor Vat)-এর সংস্কারের ঘোষণা করল ভারত।

এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ইতিমধ্যেই ২০১৮ সালে আরবে স্বামী নারায়ণ মন্দিরের শিলান্যাস করেছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর এর মাধ্যমেই মধ্য প্রাচ্যে প্রথম হিন্দু মন্দির গড়ে তোলার কাজ শুরু করা হয় ভারতের তরফে। পাশাপাশি, নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর ওই মন্দির কেমন দেখতে হবে সেই ছবিও পোস্ট করা হয়েছিল।

তবে, এবার আঙ্করভাট মন্দিরের প্রসঙ্গে এহেন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। মূলত, গত রবিবার একটি সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর (S Jaishankar)। সেই সম্মেলনেই সমাজ ও দেশ গঠনে মন্দিরের ভূমিকা কি, সেই প্রসঙ্গে একটি আলোচনা সভায় এই গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী।

এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, “ভারত ছাড়াও বিশ্বের একাধিক দেশে মন্দির রয়েছে। পাশাপাশি উপমহাদেশ ছাড়াও নানা প্রান্তে মন্দির দেখতে পাওয়া যায়। আমি উপরাষ্ট্রপতির সঙ্গে কম্বোডিয়ার আঙ্করভাট মন্দিরটি দেখতে গিয়েছিলাম। এমতাবস্থায়, আজ আমরা সেই ঐতিহাসিক মন্দির সংরক্ষণের কাজ শুরু করেছি। এখন ভারতীয় সভ্যতার প্রভাব পড়েছে সারা বিশ্বে।তাই, বিদেশের মন্দিরের জন্যও ভারতের তরফ থেকে অবদান রাখা হচ্ছে।”

1200px ankor wat temple

পাশাপাশি, ওই আলোচনা সভায় বিদেশমন্ত্রী আরও জানান যে, কোরিয়া ও চিনের মতো দেশগুলিতে একাধিক হিন্দু মন্দির রয়েছে। শুধু তাই নয়, অযোধ্যা ও কোরিয়ার মধ্যে প্রচুর সাদৃশ্যও রয়েছে বলে জানান তিনি। তাঁর মতে, “এবার ভারতীয় সভ্যতাকে ফের একবার নতুন করে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার সময় এসেছে। এখন আমরা ভারতীয় সংস্কৃতির পুনর্গঠন করার চেষ্টা করছি। কিন্তু দেশের সীমান্তের মধ্যে আটকে থেকে এই কাজ করা যাবে না। তাই, বিশ্বের যে সমস্ত প্রান্তে ভারতের বিশ্বাস পৌঁছে গিয়েছে, সেই সমস্ত জায়গায় আমাদের সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে হবে।”


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর