বাংলা হান্ট ডেস্ক: জাপান এবং তাইওয়ানকে রক্তচক্ষু দেখিয়ে এবার চিন (China) এখন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তার সামরিক শক্তি আরও জোরদার করতে চলেছে। ইতিমধ্যেই চিন দাবি করেছে যে, তারা একটি দূরপাল্লার টর্পেডো ডিজাইনে সফল হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই টর্পেডোগুলি পারমাণবিক শক্তিতে চলবে এবং কারোর নাগালের মধ্যে না এসেই এক সপ্তাহের সময়কালের মধ্যে অস্ট্রেলিয়াকে আক্রমণ করতে পারবে। পাশাপাশি, চিন জানায় যে, এই টর্পেডোগুলি খুব ছোট পারমাণবিক চুল্লির মাধ্যমে চলবে। আর এই কারণে তারা এই অস্ত্রটিকে ছোট আকারের মধ্যে রাখতে সফল হয়েছে।
চিনা বিজ্ঞানীদের মতে, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল এই পারমাণবিক চুল্লিগুলি ব্যবহারের পর নিজে থেকেই ধ্বংস হয়ে যায়। এমতাবস্থায়, চিন এই টর্পেডো নিয়ে বড় পরিকল্পনা করেছে। পাশাপাশি, তারা খুব কম দামের “কিলার রোবট”-এর একটি বহর তৈরি করছে যা সামরিক জাহাজ বা সাবমেরিনের ভিতরে বহন করা যায়। এমনকি, সেগুলিকে একটি টর্পেডো টিউবের ভিতরেও রাখা যেতে পারে। এই প্রসঙ্গে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের মতে জানা গিয়েছে যে, এই সাবমেরিনগুলি যখন দেশের জলসীমায় থাকবে তখন চিন এই টর্পেডো ব্যবহার করতে পারে।
টর্পেডোর পুরো বাহিনী নিয়ে আক্রমণ করতে সক্ষম হবে চিন: কোনো শত্রু দেশের জলসীমায় আক্রমণ করা যুদ্ধজাহাজ বা ফাইটার জেটের আক্রমণের তুলনায় খুবই কঠিন। এমতাবস্থায়, চিন চাইলেই এক সপ্তাহের মধ্যে প্রশান্ত মহাসাগরের অভ্যন্তরে টর্পেডোর পুরো সেনাবাহিনীকে নিয়ে আক্রমণ করতে পারে। জানা গিয়েছে, চিনা বিজ্ঞানীরা সবেমাত্র এই অস্ত্রের নকশার কাজ শেষ করেছেন এবং এখন এটি চূড়ান্ত করা হবে। এই প্রসঙ্গে চিনা বিজ্ঞানী গুও জিয়ান বলেন, এই প্রযুক্তি হবে খুবই সস্তা এবং এটি ব্যবহার করাও সহজ। এর মাধ্যমে বড় পরিসরে এই অস্ত্র তৈরি করা হবে।
পাশাপাশি, ওই চিনা বিজ্ঞানী আরও বলেছেন, এই পারমাণবিক টর্পেডোটির ব্যবহার পারমাণবিক সাবমেরিন আক্রমণের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে। একই সঙ্গে বিশ্বের অন্যান্য বিজ্ঞানীরা একে তুলনা করেছেন রাশিয়ার অত্যন্ত শক্তিশালী পোসাইডন সিস্টেমের সঙ্গে। পোসাইডন হল একটি রাশিয়ান পারমাণবিক অস্ত্র যা টর্পেডো এবং ড্রোন উভয় হিসাবেই ব্যবহৃত হয়। রাশিয়া দাবি করেছে যে, বর্তমান পারমাণবিক প্রতিরক্ষাও তাদের ওই অস্ত্রকে থামাতে পারবে না।
অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন ও আমেরিকার সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে: এছাড়াও, রাশিয়া জানিয়েছে, এই অস্ত্রের সাহায্যে একটি উপকূলীয় শহর বা বিমানবাহী জাহাজকে এক ধাক্কায় ধ্বংস করা যাবে। এদিকে, পারমাণবিক ওয়ারহেড দিয়ে সজ্জিত কোনো আক্রমণ আবার সুনামির কারণও হতে পারে। এমতাবস্থায়, অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন এবং আমেরিকার সাথে একটি চুক্তি সম্পন্ন করেছে। যার অধীনে তারা বেশ কয়েকটি পারমাণবিক সাবমেরিন তৈরি করছে। এমন পরিস্থিতিতে, চিনের এই অস্ত্র সেগুলির জন্য বিপজ্জনক প্রমাণিত হতে পারে।