৩০০ টাকা লিটার দুধ, ৪০০ টাকা কেজি চাল! চরম সঙ্কটে “কাঙাল” পাকিস্তান, মুখ ফিরিয়ে নিল IMF

বাংলা হান্ট ডেস্ক: সাম্প্রতিক সময়ে পড়শি দেশ পাকিস্তান (Pakistan) চরম অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে। কিছুতেই এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না ওই দেশ। শুধু তাই নয়, বর্তমানে পরিস্থিতি এতটাই বেগতিক হয়ে গিয়েছে যে পাকিস্তানের জনগণকে চাল এবং দুধের জন্য ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা খরচ করতে হচ্ছে। এদিকে ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল তথা IMF পাকিস্তানকে ঋণ দিতে অস্বীকার করেছে। এমতাবস্থায়, শেহবাজ সরকার এখন গাধার মাধ্যমে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার চেষ্টা করছে। তবুও, সামগ্রিকভাবে পাকিস্তানের অর্থনীতি এখন শোচনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে।

চরম আর্থিক সঙ্কটে পাকিস্তান (Pakistan):

পাকিস্তানের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে: সন্ত্রাস ও ধর্মের ওপর ভর করে থাকা পাকিস্তান (Pakistan) সঙ্কটের শেষ প্রান্তে পৌঁছেছে। সারা বিশ্বে সন্ত্রাসবাদী সরবরাহকারী জিন্নাহল্যান্ডের অবস্থা ক্রমশ শোচনীয় হয়ে পড়ছে। এখনও পর্যন্ত, পাকিস্তান চিনের ভিক্ষা এবং IMF-এর ঋণ ব্যবহার করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও এখন পাকিস্তানে অর্থনীতি লাইনচ্যুত হয়েছে।

   

Now Pakistan is in extreme financial crisis update.

অর্থের হিসেব চাইছে IMF: অর্থনৈতিক সঙ্কটে জর্জরিত পাকিস্তানের (Pakistan) শেষ ভরসাও এখন তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। ইতিমধ্যেই IMF শুধু পাকিস্তানের কাছে ব্যয়ের হিসাব চায়নি, এর পাশাপাশি আর্থিক সাহায্য চেয়ে ভিক্ষা করা পাকিস্তানের জন্য দরজাও বন্ধ করে দিয়েছে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, পাকিস্তান এখনও পর্যন্ত IMF থেকে ৬.২৮ বিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়েছে। মাত্র ৪ মাস আগে পাকিস্তানকে ৯ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছিল IMF। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ বলেছিলেন, এই টাকায় পাকিস্তানের অর্থনীতির উন্নতি হবে। তবে প্রতিবারের মতো সেইবারও এই অর্থ সাহায্য সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসবাদীদের পেছনে ব্যয় করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: যাত্রীরাও ভয় পান টিকিট কাটতে! সামনে এল দেশের ১০ টি অপরিচ্ছন্ন রেল স্টেশনের নাম, প্রথমে রয়েছে…..

চালের দাম কেজি প্রতি ৪০০ টাকা ছাড়িয়েছে: জানিয়ে রাখি যে, বর্তমানে পাকিস্তানে (Pakistan) পেট্রোল ও ডিজেলের দাম প্রতি লিটারে ৩০০ টাকায় পৌঁছেছে। এদিকে, ব্যাঙ্কে টাকা না থাকায় সেখানকার সাধারণ মানুষ ঋণও পাচ্ছেন না। এমনকি, চালের মতো খাদ্যদ্রব্যের দাম কেজি প্রতি ৪০০ টাকায় পৌঁছেছে। পাকিস্তানের মানুষদের কাছে প্লেন তো দূর ট্রেনে সফর করার টাকাও নেই। এমতাবস্থায়, দারিদ্র্যের সাথে লড়াই করা পাকিস্তান এখন গাধার সাহায্যে অর্থনীতিকে দাঁড় করাতে চাইছে।

আরও পড়ুন: Alto, Brezza, WagonR….এবার এই কারণে সস্তা হতে চলেছে মারুতির গাড়িগুলি! মিস করবেন না সুযোগ

গাধার ওপরে ভরসা পাকিস্তানের: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, পাকিস্তানের (Pakistan) অর্থনৈতিক সমীক্ষা অনুযায়ী জানা গিয়েছে, এক বছরে ওই দেশে গাধার সংখ্যা ১.৭২ শতাংশ বেড়ে ৫৯ লক্ষ হয়েছে। পাকিস্তান প্রতি বছর চিনে গড়ে ৫ লক্ষ গাধা রপ্তানি করে। এদিকে, পাকিস্তান সরকার গত বছর বলেছিল, গাধা বিক্রির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার বাড়ানো হবে। আশ্চর্যজনকভাবে, গাধা রপ্তানি করে সেখানকার মানুষের আয় ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, বর্তমানে পাকিস্তান রীতিমতো সন্ত্রাসবাদী তৈরির কারখানায় পরিণত হয়েছে। আর এই কারণেই সেখানকার অর্থনৈতিক অবস্থা ক্রমশ খারাপ হয়ে পড়ছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর