বাংলা হান্ট ডেস্ক: প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবার প্রতিরক্ষা অধিগ্রহণ পদ্ধতির (Defence Acquisition Procedure, DAP) ম্যানুয়াল পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জানা গিয়েছে, এর ফলে প্রাইভেট সেক্টরগুলি ভারতীয় প্রতিরক্ষা PSUs (Public Sector Undertakings)-এর সাথে সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশীদারিত্বের সাথে সহযোগিতা করার সুযোগ পাবে। শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি প্রয়োজনীয় অস্ত্র ব্যবস্থা তৈরিরও অনুমতি দেওয়া হবে। মূলত, এটি মিলিটারি হার্ডওয়্যার সেক্টরে “স্বনির্ভর ভারত”-এর অগ্রগতি বজায় রাখতে সচেষ্ট হবে।
এই প্রসঙ্গে সাউথ ব্লকের আধিকারিকদের সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সহযোগিতা ভারতীয় মাল্টি-রোল হেলিকপ্টার (IMRH)-এর উন্নয়ন ও উৎপাদনে পরীক্ষা করা হবে। যা ভারতীয় সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত সমস্ত রাশিয়ান-নির্মিত Mi-17 এবং Mi-8 হেলিকপ্টারকে প্রতিস্থাপন করবে। উল্লেখ্য যে, IMRH-এর ওজন হবে প্রায় ১৩ টন। এটি ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সাথে বিমান হামলা, অ্যান্টি-সাবমেরিন, অ্যান্টি-শিপ, সৈন্য পরিবহন এবং VVIP ভূমিকা পালন করবে।
বেসরকারি কোম্পানিগুলিতে এই নিয়ে প্রবল উৎসাহ: ভারতীয় বেসরকারি খাতের কোম্পানিগুলি ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পে অংশগ্রহণের জন্য তুমুল আগ্রহ দেখিয়েছে। পাশাপাশি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক তাদের আগামী সাত বছরের মধ্যে উৎপাদন শুরু করার কথা জানিয়েছে। ইতিমধ্যেই ফ্রেঞ্চ সাফরান চলতি মাসের ৮ জুলাই HAL-এর সাথে একটি সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষর করেছে। যেটিতে নৌ বাহিনীর ভেরিয়েন্ট সহ IMRH ইঞ্জিনের উন্নয়ন, উৎপাদন এবং সহায়তার জন্য একটি নতুন যৌথ ভেঞ্চার গঠন করা হয়।
উৎপাদকদের ২৫ শতাংশ রপ্তানিরও অনুমতি দেওয়া হবে: কর্মকর্তাদের মতে, বেসরকারি খাতের কোম্পানিগুলিকে তাদের উৎপাদনের ২৫ শতাংশ অন্য দেশে রপ্তানি করতে এবং দেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা বাড়াতে অনুমতি দেওয়া হবে। এদিকে, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীকে উন্নত IMRH সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। যেগুলি আগামী সাত বছরের মধ্যে বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করা হয়েছে। অপরদিকে, বেসরকারি খাতের কোম্পানিগুলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কাছে একটি আশ্বাসও চেয়েছে যে, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে যদি নির্ধারিত পণ্য তৈরি হয়ে যায় সেক্ষেত্রে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীকে হেলিকপ্টার কিনতে হবে।
কেন্দ্রের কাছে আর কোনো উপায় ছিল না!: বেসরকারি খাতে ৫১ শতাংশ অংশীদারিত্ব অধিগ্রহণ করার ক্ষেত্রে এবং ভারতীয় PSU-গুলির সাথে যৌথ ভেঞ্চার শুরু করার ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কারণ PSU-গুলি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরবরাহ করতে পারেনি। যার ফলে খরচ বৃদ্ধি পায়। এই বিলম্বের কারণে, মোদী সরকারের কাছে টেন্ডার বা সরকার-থেকে-সরকারি পথের মাধ্যমে অন্যান্য দেশ থেকে প্রয়োজনীয় মেশিন কেনা ছাড়া আর কোনো বিকল্প ছিল না।