বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মহারাষ্ট্র (Maharashtra) শিবসেনা (Shiv Sena) আগে বিজেপির (BJP) জোট সঙ্গী হলেও পরে তারা গাঁটছড়া বেঁধেছেন কংগ্রেসের (Indian National Congress) সঙ্গেই। আর সেই সূত্র ধরেই আপাতত মহারাষ্ট্রে ক্ষমতায় রয়েছে তারা। কিন্তু সেই জোটসঙ্গী কংগ্রেসের অন্যতম প্রধান নেতা রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) সমালোচনাতেই এবার মুখর হল উদ্ধব ঠাকরের (Uddhav Thackeray) দল। কিছুদিন আগে থেকেই মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের প্রধানমন্ত্রী মোদীর (Narendra Modi) সঙ্গে বৈঠককে কেন্দ্র করে যথেষ্ট জল্পনা তৈরি হয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। তবে কি ফের একবার পুরনো বন্ধন ঝালিয়ে নিতে চাইছে শিবসেনা? আজ রাহুলের সমালোচনাতে মুখর হওয়ায় সেই জল্পনা যে আরও কিছুটা হাওয়া পেলেও তা বলাই বাহুল্য।
শিবসেনার মুখপত্র ‘সামনা’ (Samna) তে জানানো হয়েছে, রাহুল গান্ধী মোদীর (Narendra Modi) বিরোধিতা করছেন ঠিকই কিন্তু তা শুধুমাত্র টুইটারে। রাহুলের বিরুদ্ধে এর আগেও সমালোচনা ছিল যে, মাঠে ময়দানে সেভাবে দেখা যায় না তাকে। সেই তত্ত্বই আরেকবার তুলে আনল ‘সামনা’। জানানো হয়েছে, ‘‘এটা সত্যি যে, রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাজ এবং তাঁর ভুলগুলি নিয়ে সরব হয়েছেন। কিন্তু তিনি তা করেছেন টুইটারেই। আর সেটা যখন কেন্দ্রীয় সরকার বুঝতে পেরেছে, সঙ্গে সঙ্গে টুইটারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছে।’’
দেশে যখন এত বড় কৃষক আন্দোলন চলছে, পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধিতে রীতিমতো জর্জরিত মানুষ, তখন সেভাবে কোনো বড় গণ-আন্দোলন করতে দেখা যায়নি কংগ্রেসকে। শুধু তাই নয়, শিবসেনার মুখপত্র ‘সামনা’র প্রতিবেদন অনুযায়ী বিরোধী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করতেও ব্যর্থ হয়েছেন রাহুল গান্ধী।
বরং তাদের অন্য জোট সঙ্গী এনসিপি’র প্রধান শরদ পাওয়ারের (Sharad Power) প্রশংসা করেছে তারা। ‘সামনা’য় লেখা হয়েছে, ‘‘বিরোধীদের একজোট করার যে প্রয়াস শরদ পওয়ার নিয়েছেন, সেই উদ্যোগে যদি রাহুল গান্ধীও যোগদান করতেন, একমাত্র তাহলেই বিরোধীদের জোট সত্যিকারের শক্তিশালী হয়ে উঠত।’’
এই মুহূর্তে দেশে যেভাবে একের পর এক দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটে চলেছে, তার বিরোধিতা করতে যে ব্যর্থ কংগ্রেস নেতৃত্ব তা বলাই বাহুল্য। একথা ঠিক যে, কোভিড হোক বা পেট্রোল-ডিজেলের দাম সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে বারবার সরব হয়েছেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু তা শুধুমাত্র টুইটারেই। আর সেই কারণেই এই বিক্ষোভ বড় কোন আন্দোলনের চেহারা নেয়নি। একই বক্তব্য জোটসঙ্গী শিবসেনারও। এখন আগামী দিনে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে এই বক্তব্য কতটা প্রভাব ফেলে সেদিকেই তাকিয়ে থাকবে সকলে।