বাংলা হান্ট ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন “বাংলার শাড়ি” প্রকল্পের। যেটি ইতিমধ্যেই উঠে এসেছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। শুধু তাই নয়, এই প্রকল্প ঘিরে দেখা গিয়েছে উৎসাহের আবহ। মূলত সরকারের এই উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলার যে নিজস্ব শাড়ি রয়েছে সেই শিল্পকেই বাঁচিয়ে রাখা হবে। যার ফলে একদিকে যেমন রাজ্য জুড়ে (West Bengal) বাংলার শাড়ির শ্রীবৃদ্ধি ঘটবে ঠিক তেমনি এই শিল্পের সাথে যুক্ত শিল্পীরা আর্থিক দিক থেকে সমৃদ্ধ হতে পারবেন।
এমতাবস্থায়, মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, রাজ্যের প্রতিটি ব্লকেই এই ধরণের শাড়ি বিপণি তৈরি হবে। আর সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই এবার বাংলার শাড়ির আউটলেট খোলার ব্যাপারে শুরু হয়েছে তোড়জোড়। পাশাপাশি, চলতি বছরের পুজোর আগেই কয়েকটি আউটলেট খোলার ব্যাপারে গুরুত্ব সহকারে চেষ্টা করা হচ্ছে।
এদিকে, রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পের মাধ্যমে শাড়ির কেনাবেচায় বৃদ্ধি ঘটার পাশাপাশি লাভবান হবেন তাঁতিরাও। এছাড়াও, যে আউটলেটগুলি খোলা হবে সেখানে কাজ পাবেন স্থানীয়রাও। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল আউটলেটগুলিতে মিলবে ন্যায্য দামে শাড়ি। তাই, ক্রেতারা ভরসার সাথেই এখান থেকে শাড়ি কিনতে পারবেন।
আরও পড়ুন: সন্দেশখালি ঘটনার পুনরাবৃত্তি! NET প্রশ্ন ফাঁসের তদন্তে গিয়ে CBI আধিকারিকদের মারধর করল গ্রামবাসী
আর এই বিষয়গুলির জন্যই ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পটির পরিপ্রেক্ষিতে তুমুল আলোচনা শুরু হয়েছে। পাশাপাশি, আউটলেটগুলিতে স্টক ঠিক কিরকম থাকবে এবং শাড়ির দাম কতটা সাধ্যের মধ্যে থাকবে তা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা।
আরও পড়ুন: একেই বলে বন্ধুত্ব! আমেরিকা হাত তুলে নিলেও ইজরায়েলে যুদ্ধের সময়ে অস্ত্র ও ড্রোন পাঠাল ভারত
কোথায় কোথায় খোলা হবে এই বিপণি: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, বাংলার শাড়ির প্রথম দুটি বিপণির মধ্যে কলকাতার ঢাকুরিয়ার দক্ষিণাপনে একটি আউটলেট খোলার ব্যাপারে নেওয়া হচ্ছে উদ্যোগ। এর পাশাপাশি অপর একটি আউটলেট দিঘায় খোলা হবে বলেও জানা গিয়েছে। যার জন্য নেওয়া হচ্ছে প্রস্তুতি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, সারাবছর জুড়েই দিঘাতে পর্যটকদের যথেষ্ট ভিড় পরিলক্ষিত হয়। এমতাবস্থায়, দিঘায় বেড়াতে আশা পর্যটকদের এবার নতুন প্রাপ্তি হতে চলেছে বাংলার শাড়ির কাউন্টার।