বাংলা হান্ট ডেস্ক : তিন বছর আগেই রাতারাতি নোট বাতিলের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল কেন্দ্রের তরফে আর তাই পুরনো নোটের বদলে নতুন নোট এবং নতুন করে নোটের আত্মপ্রকাশ হয়েছিল। এই নোটবন্দির খপ্পরে পড়ে দেশের কোটি কোটি জনতা সমস্যার মুখে পড়েছিলেন। মোদী সরকারের প্রথম জমানায় এ এক মাস্টার স্ট্রোক বলা যায় কিন্তু তার পর দ্বিতীয় জমানায় এসে আসতে আসতে এনআরসি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নতুন সংযোজন হয়েছে তার সঙ্গে আবার জাতীয় জনসংখ্যা রেজিস্টার যা ঘিরে দেশ জুড়ে কার্যত শুধুমাত্র ধোঁয়াশায় থেকে যাচ্ছে।
এখনও অবধি এই তিনটি নিয়ে মানুষের মধ্যে ধন্ধ কাটেনি। আসলে কী হবে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে মরিয়া জনগণ। কিন্তু এরই মধ্যে কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন, 2016 সালের নভেম্বর মাসে নোটবন্দির থেকেও না কি ভয়ঙ্কর হবে জাতীয় জনসংখ্যা রেজিস্টার ও জাতীয় নাগরিক পঞ্জি।
শনিবার দিল্লির এআইসিসি দফতরে কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপনে উপস্থিত হয়ে প্রাক্তন কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বলেন, নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য প্রধানমন্ত্রী অন্যজন বন্ধুকে কোনও নথিপত্রই দাখিল করতে হবে না এসবের জন্য অর্থাত্ এনবিআর ও এনআরসি র জন্য বরাদ্দ করা অর্থ ঢুকবে ওই পনেরো জনের পকেটে, আর এই আইনগুলির জন্য ভুগতে হবে দেশের সাধারণ মানুষদের।
যদিও বরাবর এনআরসি এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জির সমালোচনায় সরব হয়েছে কংগ্রেস এবং যে কোনো পরিস্থিতিতে এই আইন লাগু করতে দেওয়া যাবে না তাই প্রতিবাদে সরব হয়েছে কংগ্রেস। পাশাপাশি এ দিন ডিটেনশন ক্যাম্প নিয়ে বলতে গিয়ে রাহুল গাঁধী জানান, দেশজুড়ে ডিটেনশন সেন্ট আরও বেশি করে খোলার তোড়জোড় রয়েছে।
আসলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন দেশের ডিটেনশন ক্যাম্পের সঙ্গে নাগরিকত্ব আইনের কোনও যোগ নেই তাই এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রাহুল গাঁধী প্রশ্ন করেন এবার আপনারাই ঠিক করুন কে মিথ্যেবাদী?