শনিবারই প্রকাশিত হয়েছে অসমের জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকার চূড়ান্ত তালিকা। সেই তালিকা থেকেই ইতিমধ্যে বাদ পড়েছেন ঊনিশ লক্ষেরও বেশি মানুষ। আর সেই তালিকা প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে দেশ জুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। শোড়গোল পড়েছে দেশে। আর এরমধ্যেই এনআরসি ও নাগরিকত্ব বিল নিয়ে প্রচার করতে চাইছে বিজেপি। রাজ্যে এই সংক্রান্ত তথ্য বোঝানোর জন্য টিম গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য বিজেপি। পুজোর আগেই নাকি এনআরসি সমর্থনে প্রচার শুরু করতে চায় বিজেপি,এমনটাই খবর।আর তাইতো রাজ্যে বিজেপির সাধারণ দুই সম্পাদককে এনআরসির পুরো দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, এনআরসি নিয়ে বিশেষ আগ্রহ দেখিয়েছে বিজেপি। বরাবরই এর পক্ষে সওয়াল করেছে বিজেপি বাহিনী। তাই সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের নির্বাচনী প্রচারের সময়ও এনআরসি নিয়ে বক্তব্য রেখেছিলেন স্রবরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শোনা গিয়েছে এনআরসি সমর্থণে প্রচার চালানোর জন্য নাকি রাজ্য বিজেপির তরফ থেকে সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলির বাড়ি বাড়ি গিয়ে বই বিলি করা হবে। যেখানে এন আর সি কি, কারা এই নাগরিকপঞ্জিকা আথেকে বাতিল বলে গন্য হয়েছেন,এই সম্পর্কিত তথ্য।
অন্যদিকে জাতীয় নাগরিকপঞ্জিতে নাম না থাকা ব্যক্তিরা ফরেন ট্রাইবুনালে আবেদন করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন সেরাজ্যের সরকার। ফরেন ট্রাইবুনালে হেরে গিয়ে শীর্ষ আদালতেও দ্বারস্থ হতে পারেন তারা এমনটাও জানানো হয়েছে।
এনআরসি নিয়ে বলতে গিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন সুযোগ পেলেই নাকি রাজ্যেও এনআরসি চালু করা হবে। পাশাপাশি, বিদেশিদের চিহ্নিত করে নাগরিকত্ব বিল পাশ করিয়ে তাঁদেরও নাগরিকত্ব দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। দিলীপ ঘোষের মতো একই পথে হেঁটেছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়র। শনিবার কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের সামনে দেশের প্রতিটি রাজ্য এমনকি পশ্চিমবঙ্গেও এনআরসি চালু করার ব্যাপারে কথা বলেছেন।