বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নাগরিকপঞ্জির তালিকায় নাম না থাকায় করুণ পরিণতির দৃষ্টান্ত আবারও দেখা গেল অসমে। ২০১৯-এর শেষের দিকে সিএএ চালু হওয়ার পর থেকে দেশজুড়ে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে চলছে বিক্ষোভ -আন্দোলন। বাংলা, কেরল সহ একাধিক রাজ্যে বন্ধ হয়েছে ডিটেনশন ক্যাম্প নির্মাণের কাজ। এদিকে অসমে ঘটে গেল আরেক মর্মান্তিক ঘটনা। ভারতীয় নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত হওয়ার কারণে মানুষের দুর্গতির সীমা নেই। মৃত্যু পর্যন্ত ঘটছে ডিটেনশন ক্যাম্পে।
শুক্রবার গভীর রাতে গোয়াপাড়া গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মারা যান এক ব্যক্তি। সূত্রের খবর, গত ১০ দিন আগে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছিল ওই ব্যক্তিকে। এদিন মৃত্যু হয় তাঁর।
এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে ডিটেনশন ক্যাম্পে।বর্তমানে অসমে মোট ৬টি ডিটেনশন ক্যাম্প রয়েছে,যেখানে প্রায় ১০০০ মানুষ রয়েছে। আরও ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি করা হচ্ছে গোয়ালপাড়া জেলায়। অসম সরকারের দাবি অনুযায়ী, যে ২৪ জনকে বেআইনি অনুপ্রবেশকারী হিসাবে গণ্য করা হয়েছে, বিগত কয়েক বছরে অনেকেরই মৃত্যু হয়েছে।
গোটা দেশে একদিকে সিএএ নিয়ে উত্তাল পরিস্থিতি , প্রতিবাদের পারদ ক্রমশ চড়ছে চারিদিকে। অন্যদিকে অসমে নাররিকপঞ্জি থেকে বাদ পড়ায় কারণে বহু মানুষের ঠাঁই হয়েছে বন্দি শিবিরে। অসমের পরিস্থিতি বাংলায় যাতে কোনওভাবেই না তৈরি হয় তার জন্য লাগাতার আন্দোলনে সামিল হয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলা থেকে কাউকে তাড়াবে দেবেন না, এ দেশ থেকে কাউকে তাড়াতে দেবেন না, তার জন্য বিক্ষোভ-আন্দোলন চলবে।