বাংলাহান্ট ডেস্ক: ২০২২ থেকে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে তোলপাড়। মামলার জট এখনও খোলেনি। হকের চাকরি, নিয়োগের দাবিতে রাস্তায় নেমে আন্দোলন চালাচ্ছে হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থী, আদালতে চলছে একাধিক মামলা। যদিও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছে গত বছরের মত এবারও ডিসেম্বর মাসেই প্রাথমিকের টেট পরীক্ষা (Primary TET Exam) হতে চলেছে।
বৃহস্পতিবার টেট পরীক্ষায় আবেদনের টাকা জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। যাতে দেখা গিয়েছে প্রাথমিকের টেট (TET) পরীক্ষায় এ বছর অনেকটাই কমছে পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা। ২০২৩ এর টেটে আবেদনের সংখ্যা ৫০% কমতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে।
চলতি টেটে বসার জন্য ১৪ ই সেপ্টেম্বর অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়। ৪ অক্টোবর আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। তবে যারা আবেদন করেও টাকা জমা দেননি তাদের জন্য ৫ তারিখ পর্যন্ত সময় দিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তবে জানা যাচ্ছে ২০২৩ এ টেটে বসতে চলেছে এমন পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় অর্ধেক হয়ে গিয়েছে।
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে এবছর টেটে বসার জন্য কিছু পরীক্ষার্থী-এর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। গত বছর থেকে নিয়মে এসেছে পরিবর্তন। কিছুদিন আগে নিয়োগ সংক্রান্ত এক মামলার রায় দিতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয় প্রাথমিক (Primary) স্কুলে শিক্ষকতা করতে হলে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের D.El.Ed বা D.Ed ডিগ্রি থাকতেই হবে। অর্থাৎ কারও যদি বিএড ডিগ্রি থেকে থাকে সেক্ষেত্রে সেই সমস্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা প্রশিক্ষণ থাকা সত্ত্বেও এবার থেকে প্রাথমিকে আবেদন করতে পারবে না।
আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহে পরপর দুদিন বন্ধ থাকতে পারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস-কাছারি! ফের কেন ছুটি?
যদি কোনও চাকরিপ্রার্থীর B.Ed এবং D.El.Ed বা D.Ed উভয় প্রশিক্ষণই নিয়ে থাকেন তবে প্রাথমিকে অবশ্যই চাকরি করতে পারবেন। সেই নির্দেশ মেনেই বিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা এবার থেকে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে অংশ নিতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছে পর্ষদ। তাই আবেদনকারীর সংখ্যাটাও আগের থেকে কমে গিয়েছে বলে জানিয়েছে পর্ষদ।
পর্ষদ জানিয়েছে, গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে ডিএলএড ও বিএড পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন প্রায় এক লাখ পঞ্চাশ হাজার পরীক্ষার্থী। তবে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মতো এর মধ্য থেকে প্রায় ৯৭ হাজার পরীক্ষার্থী এ বছর প্রাথমিকের টেট পরীক্ষায় আবেদন করতে পারবে না। যার ফলে গতবারের তুলনায় আবেদনের সংখ্যা কমেছে।