বাংলা হান্ট ডেস্ক : ভারতবর্ষের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশে একটা সময় কন্যা সন্তানকে বোঝা বলে মনে করা হতো। সেই চিন্তা ভাবনা থেকে কন্যাভ্রণ হত্যা কিংবা কন্যা সন্তান হলে মেরে ফেলার চেষ্টা, কোন কিছুই বাদ যেতনা। কিন্তু ধীরে হলেও এবার বোধহয় পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করেছে। পরিবর্তন আসছে মানুষের মনে। বদলাতে শুরু করেছে মানুষের মনের মধ্যে মধ্যযুগীয় চিন্তাভাবনা।
সম্প্রতি এমন একটি পরিসংখ্যান সামনে এসেছে যা থেকে স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে সমাজে কন্যা সন্তানের গুরুত্ব ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কন্যা ভ্রূণ হত্যার মতো কদর্য চিন্তা ভাবনা থেকে বেরিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে কন্যা সন্তান দত্তক নেওয়ার সংখ্যা।
একটি পরিসংখ্যান থেকে পাওয়া হিসাব অনুযায়ী, ২০২১ সালের এপ্রিল মাস থেকে ২০২২ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত মোট সন্তান দত্তক নেওয়া হয়েছে ২৯৯১ টি। যার মধ্যে ১৯৬৮ জনই কন্যা সন্তান। অর্থাৎ সিংহভাগই মেয়ে। এই পরিসংখ্যান থেকে হয়তো আশার আলো পাওয়া যাচ্ছে আগামী দিনের পরিবর্তনের।
কেন্দ্রীয় দত্তক সংক্রান্ত সংস্থা ‘সেন্ট্রাল অ্যাডপটেশন রিসোর্স অথোরিটি’র ওয়েবসাইটে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, শুধু গত বছর নয়, ২০১৩-১৪ সালের পর থেকে উল্লেখযোগ্য হাড়ে বৃদ্ধি পেয়েছে কন্যা সন্তান দত্ত নেওয়ার প্রবণতা। এর পাশাপাশি অন্য একটি শঙ্কার দিকও আছে। প্রতিবছর পরিত্যাক্ত শিশুদের মধ্যে কন্যা সন্তানের সংখ্যাও কিন্তু বেশি।
একটি সূত্র মারফত খবর অনুযায়ী, কন্যা সন্তান দত্তক নেওয়ার প্রবণতা অপেক্ষাকৃত বৃদ্ধি পেলেও সর্বোপরি দত্তক নেওয়ার সংখ্যা কিন্তু সেই ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে না। এর জন্য আইনি জটিলতাকে দায়ী করছে সমাজের একাংশ। তবে তাদের আশা দ্রুত এই পরিস্থিতি বদলে গিয়ে আশ্রয় পাবে পরিত্যক্ত সন্তানেরা।