নূপুর শর্মা বিতর্কের জের, ব্যাপক হিন্দু ভক্তের সংখ্যা কমেছে দিল্লির দরগায়! প্রভাব রুজিরোজগারেও

বাংলাহান্ট ডেস্ক : দিল্লির (Delhi) হজরত নিজামুদ্দিন আউলিয়ার দরগাহে (Hazrat Nizamuddin Auliya Dargah) কমেছে হিন্দু ভক্তের সংখ্যা। এমনই দাবি করলেন দরগাহের (Dargah) দেওয়ান আলী মুসা নিজামী। আলীর বয়স প্রায় ৮৪ বছর। জীবনে অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে তাঁর। কিন্তু দরগাহে হিন্দু ভক্ত আসার সংখ্যা এতটা কমে যেতে কখনই দেখেন নি তিনি। তাঁর মতে দরগাহে হিন্দু (Hindu) আসার সংখ্যা কমেছে প্রায় ৬০ শতাংশ।

দেওয়ান আলী মুসা নিজামী আরও বলেন, আগে এখানে অনেক হিন্দু আসতেন। কিন্তু এখন সেই সংখ্যাটা অনেকটাই কম। এর প্রধান কারণ ভারতে ছড়িয়ে পড়া ধর্মীয় বিদ্বেষই বলে মনে করেন আলী মুসা। তিনি বলেন আগে এই দরগাহে দুপুর ২ঃ০০ থেকে রাত ১১ঃ০০ হিন্দুদের ঢল নামতো। আজ সেখানে একটা বা দুটো হিন্দুই আসেন। আগে অনেক হিন্দুই এখানে ভান্ডার দিতেন। অনেকেই খাবার টাকা পয়সা গরিব দুঃখীদের মধ্যে দান করতেন এখন আর সে সব হয় না।

হিন্দু কম আসার কারণে প্রভাব পড়েছে ওই এলাকার মানুষের রুজিরোজগারেও। যদিও ক্যামেরার সামনে কেউই একথা বলতে রাজি নয় ঠিক কোন কারণে হঠাৎ হিন্দু দর্শনার্থীর সংখ্যা কমেছে নিজামুদ্দিন আউলিয়ার দরগাহে। তবে নিজামী মনে করেন দরগাহে হিন্দু দর্শনার্থীর সংখ্যা হঠাৎ একদিনে কমে যায়নি। প্রায় বছরখানেক ধরেই হিন্দু দর্শনার্থী কমার ধারাবাহিকতা দেখা গেছে। বিশেষ সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, হিন্দুদের দরগাহে না আসার জন্য রীতিমত প্রচার চালানো হয়েছে। সেই প্রচারে বলা হয়েছে, দরগাহে প্রার্থনা করে কিচ্ছু হবে। তার চেয়ে বরং মন্দিরে যাও।

Untitled design 27 4

নিজামীর মতে ‘হিন্দুভাইয়েরা’ ভালো মানুষ। কিন্তু যে প্রচার চালানো হচ্ছে তাতে ধর্মীয় বিদ্বেষ বাড়ছে। বৃদ্ধি পাচ্ছে মানুষের মাঝে দূরত্বও। নূপুর শর্মা বিতর্কের প্রভাব পরেছে এই দরগাহতেও। নিজামী আরও বলেন, সবাই মনে করে এই দরগাহ শুধু মুসলিমদের। কিন্তু তা নয়। এই দরগাহের উপর অধিকার রয়েছে সকল মানুষের। আজও এই দরগাহ এলাকায় একাধিক হিন্দু দোকান রয়েছে। সেগুলি আজও চলছে, এবং ভবিষ্যতেও একই ভাবে চলবে বলেই মনে করেন নিজামুদ্দিন আউলিয়া দরগাহের দেওয়ান নিজামী।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর