বাংলা হান্ট ডেস্ক : মাদ্রাসার সংখ্যা কমাতে চায় রাজ্য সরকার। গতকাল শনিবার এই কথা ঘোষণা করলেন অসমের (Assam) মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। এরই সঙ্গে তিনি জানান, এটি নিয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করছে সরকার। এদিন এক সাংবাদিক সম্মেলনে যোগ দেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, ‘প্রথম দফায় আমরা রাজ্যে মাদ্রাসার সংখ্যা কমাতে চাই। মাদ্রাসায় (Madrasa) আমরা জেনারেল এডুকেশন চালু করতে চাই। মাদ্রাসাগুলিকে নথিভুক্তও করতে চাই। হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করছে। তারাও অসম সরকারকে সাহায্য করছে।
অসমের (Assam) মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের দিন কয়েক আগেই সে রাজ্যের ডিজিপি ভাস্কর জ্যোতি মহন্ত জানান, রাজ্যে মাদ্রাসাগুলির সংস্কার সাধনের ব্যাপারে আলোচনা চলছে। ছোট মাদ্রাসাগুলিকে কাছাকাছি থাকা বড় মাদ্রাসার সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া হবে। উগ্র মৌলবাদ এড়াতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সোমবার গুয়াহাটিতে অসম পুলিসের ডিজিপি বলেছিলেন, অসমে মাদ্রাসাগুলি ঠিকঠাক চলছে। যাঁরা মাদ্রাসা চালান এমন ৬৮ জনের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। এর পরেই তিনি বলেন, ছোট মাদ্রাসাগুলিকে এলাকার কোনও বড় মাদ্রাসার সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে কথাবার্তা চলছে। মাদ্রাসাগুলির সংস্কার সাধনের ব্যাপারেও কথাবার্তা চলছে। আইনকানুন তৈরি, মাদ্রাসা বোর্ড স্থাপনের ব্যাপারেও আলোচনা চলছে।
ডিজিপি বলেন, ইতিমধ্যেই প্রায় ১০০টি ছোট মাদ্রাসাকে বড় বড় মাদ্রাসার সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে এখনও সার্ভে চলছে। কিছুদিন আগে অসমের (Assam) মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, অসমের মুসলিমরা মৌলবাদীদের বিশেষ টার্গেট। রাজ্যের ছোট ছোট মাদ্রাসাগুলিতে এমন ঘটনা হামেশাই ঘটে। তিনি আরও বলেন, অসম পুলিস সন্ত্রাসী সংগঠন আনসারুল বাংলা টিম ও আল কায়েদা ইন ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্টের ৯টি মডিউল ধ্বংস করেছে।
গত বছর ৫৩ জন সন্ত্রাসবাদীকে গ্রেফতার করেছে। তিনি বলেন, যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বেসরকারি মাদ্রাসার শিক্ষক। হিমন্ত বলেন, মুসলিম নেতারা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে বলেছেন, এই জাতীয় কাজকর্মে রাশ টানতে। একটি বৈঠকে যেখানে উপস্থিত ছিলেন মুসলিম সম্প্রদায়ের ৬৮ জন নেতা, মাদ্রাসগুলির সংস্কার সাধনে তাঁরা সহমত পোষণ করেছেন।