বাংলাহান্ট ডেস্ক: তিনি নিজে ধর্ম নিয়ে ছুঁতমার্গে বিশ্বাসী নন। মুসলিম ধর্মাবলম্বী হয়েও একজন হিন্দুর সঙ্গে বিয়ে সেরেছিলেন। শাঁখা সিঁদুর পরে অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন হিন্দু ধর্মীয় উৎসবে। পুজো পার্বণেও দেখা মিলেছে তাঁর। তিনি নুসরত জাহান (Nusrat Jahan)। ঘটা করে বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠানে কাজে যোগ দেন তিনি। কট্টরপন্থীদের চোখ রাঙানোকে তোয়াক্কা না করেই নিজের কাজ করতে দেখা যায় তাঁকে।
সম্প্রতি ইফতার মজলিসে অংশ নিয়েছিলেন নুসরত। উত্তর ২৪ পরগণার বাদুরিয়ায় এক ইফতারের আয়োজন করা হয়েছিল। দিলীপ কুমার হাই স্কুলের মাঠে আয়োজিত এই ইফতার মজলিসে একত্রিত হয়েছিলেন হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান নির্বিশেষে সব ধর্মের মানুষ। বিশেষ আকর্ষণ ছিলেন নুসরত। তিনিও উপস্থিত থেকে দিলেন বিশেষ বার্তা।
নুসরত বলেন, এই ইফতার মজলিসে কোনো রাজনীতির রঙ না লাগানোই ভাল। শুধু মুসলিমরা নয়, সব ধর্মের মানুষ মিলে একসঙ্গে জড়ো হয়ে ইফতার করেন এখানে। সেই সঙ্গে নাম না করে বিরোধীদের উদ্দেশে তীব্র কটাক্ষ করে নুসরত বলেন, বাংলা সব ধর্মের পীঠস্থান। যারা ধর্মের নামে অশান্তি ছড়িয়ে বাংলাকে উত্তপ্ত করতে চাইছে মানুষই তাদের ছুড়ে ফেলবে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে।
উল্লেখ্য, বাদুরিয়ার দিলীপ কুমার হাই স্কুলের মাঠে আয়োজন করা হয়েছিল ইফতার মজলিসের। বিভিন্ন ধর্ম মিলিয়ে প্রায় কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিল এখানে। শুধু ইফতার নয়, ১০০ জন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষকে ট্রাই সাইকেলও দেওয়া হয় এই অনুষ্ঠানে।
রামনবমীতে হাওড়া রিষড়ার ঘটনা এখনো মানুষের মনে টাটকা। রামনবমীর মিছিল ঘিরে অশান্তি চরমে উঠেছিল কিছুদিন আগেই। দফায় দফায় অশান্তির পর হনুমান জয়ন্তীতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নেমেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। সেদিক দিয়ে এই ইফতার মজলিস ধর্মীয় সম্প্রীতির নজির গড়েছে। রিষড়ার ঘটনা কাঙ্খিত নয় বলেও এদিন মন্তব্য করেন নুসরত।