বাংলাহান্ট ডেস্ক: সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে নুসরত জাহান (nusrat jahan) জানিয়েছিলেন নিখিল জৈনের সঙ্গে তাঁর বিয়েটা বৈধ নয়। তুরস্কে গিয়ে ধুমধাম করে ‘বিয়ে’ করেছিলেন নুসরত ও নিখিল। কিন্তু এখন তাঁর বক্তব্য আইন মেনে হয়নি তাঁদের বিয়ে। হয়নি রেজিস্ট্রেশনও। নিখিল জৈন বিবাহবিচ্ছেদের আইনি প্রক্রিয়া শুরু করলেই এই বিবৃতি দেন নুসরত।
অপরদিকে তৃণমূলের তারকা বিধায়কের এই মন্তব্যে তীব্র কটাক্ষ করে বিজেপি পালটা প্রশ্ন করে, তবে কি সংসদে দাঁড়িয়ে মিথ্যে বলেছিলেন নুসরত? স্বামীর নাম, বৈবাহিক সম্পর্ক নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়ার অভিযোগ তুলে সম্প্রতি নুসরতের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়ে লোকসভার স্পিকারকে চিঠি দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ সঙ্ঘমিত্রা মৌর্য্য।
এরপরেই আবারো মুখ খুলেছেন নুসরত। তাঁর পালটা দাবি, দু সপ্তাহ আগেই নাকি ম্যারেজ অ্যানালমেন্টের (marriage annulment) প্রতিলিপি লোকসভায় জমা দিয়েছেন তিনি। এবার স্বাভাবিক ভাবেই এখানে প্রশ্ন উঠছে, নুসরত নিজেই বলেছিলেন তাঁর ও নিখিলের বিয়ে বৈধ নয়। তাঁরা লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন। তবে যে বিয়েটাই হয়নি সেটা বাতিল হয় কিকরে আর তার প্রতিলিপিই বা কিকরে জমা দেন নুসরত। নুসরত বক্তব্য অনুযায়ী, আদালতে ম্যারেজ অ্যানালমেন্টের মামলা শুরু হওয়ার পরেই লোকসভায় তার প্রতিলিপি জমা দেন তিনি। তারপরেই ৯ জুন সংবাদ মাধ্যমে বিবৃতি দেন নুসরত।
বিয়ের পর প্রথম বার বিয়ের পর প্রথম বার নুসরতের লোকসভা সাংসদ হিসাবে শপথ নেওয়ার সময় স্পষ্ট অভিনেত্রী সাংসদ বলেছিলেষ, ‘আমি নুসরত জাহান রুহি জৈন’। এমনকি পশ্চিমবঙ্গ থেকে জয়ী তৃণমূল সাংসদদের তালিকায় নুসরত জাহানের সম্পর্কে তথ্যে স্পষ্ট লেখা রয়েছে তিনি বিবাহিত। স্বামীর নাম নিখিল জৈন এবং বিয়ের তারিখ ২০১৯ এর ১৯ জুন। উল্লেখ্য, সংসদকে যে তথ্য দেওয়া হয় সেটাই দেখা যায় ওয়েবসাইটে।
এই তথ্য হাতিয়ার করেই লোকসভা স্পিকারকে চিঠি দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ সঙ্ঘমিত্রা মৌর্য্য। চিঠির সঙ্গে নুসরতের লোকসভা প্রোফাইলও জুড়ে দিয়েছেন তিনি। সেখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে স্বামী হিসেবে নিখিল জৈনের নাম উল্লেখ করেছেন নুসরত। বিজেপি সাংসদের অভিযোগ, সংসদে দাঁড়িয়ে শপথ গ্রহণের সময় যে কথা বলেছিলেন নুসরত তার সঙ্গে এখন সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া বিবৃতির কোনো মিল নেই। তাঁর দাবি, লোকসভার এথিকস কমিটি এই বিষয়ের তদন্ত করুক।
বিজেপি সাংসদের আরো বক্তব্য, শপথগ্রহণের সময় হাতে চূড়া, সিঁথিতে সিঁদুর নিয়ে সম্পূর্ণ বিবাহিত হিন্দু নারীর বেশে শপথ নিয়েছিলেন নুসরত। তাঁর সেই সাজের জন্য কট্টরপন্থীদের আক্রমণের মুখেও পড়তে হয়েছিল। তখন অনেক সাংসদই নুসরতের পক্ষ নিয়েছিলেন। সর্বোপরি নুসরতের ‘বিয়ে’র গ্র্যান্ড রিসেপশনে উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।