বাংলাহান্ট ডেস্ক : নুসরত জাহান (Nusrat Jahan) মানেই সমালোচনা। টলিপাড়ার খ্যাতনামা নায়িকা হলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় নুসরতের নিন্দুক কম নেই। পোশাক আশাক থেকে শুরু করে বিভিন্ন কারণে কটাক্ষ সইতে হয় তাঁকে। এমনকি ধর্মের ধ্বজাধারীদের হাতেও হেনস্থা কম হন না নুসরত (Nusrat Jahan)। আসলে ভিনধর্মী হয়েও হিন্দুধর্মের বিভিন্ন পুজো পার্বণে অংশ নেওয়ায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয় নুসরতকে। কিন্তু তিনি পাত্তা দেন না ট্রোলিংকে।
ধর্মীয় কটাক্ষের শিকার নুসরত (Nusrat Jahan)
সাম্প্রতিক অতীতে রথযাত্রা থেকে দুর্গাপুজো, সমস্ত উৎসবেই অংশ নিতে দেখা গিয়েছে নুসরতকে (Nusrat Jahan)। সাংসদ থাকাকালীন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মাহেশের রথযাত্রায় গিয়ে রথের দড়ি টেনেছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, দুর্গাপুজোতেও প্রতি বছর অংশ নেন অভিনেত্রী। সিঁদুরে সিঁথি রাঙিয়ে অঞ্জলি দেন অষ্টমীতে। এর জেরে কট্টরপন্থীদের নিশানায় এসেছেন তিনি বারবার।
আরো পড়ুন : পেইনকিলার ছাড়াই ঘন্টার পর ঘন্টা প্রসব যন্ত্রণা… বৌমা ঐশ্বর্যকে নিয়ে এ কী বলে ফেললেন অমিতাভ!
ট্রোল নিয়ে সপাট জবাব নায়িকার
সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে নুসরত (Nusrat Jahan) বলেন, অষ্টমীর ভোগ খেতে খুব ভালোবাসেন তিনি। এর জন্য কম কটাক্ষের শিকার হতে হয়নি তাঁকে। কিন্তু তবুও তিনি অষ্টমীর অঞ্জলি দেন। আর আগামীতেও দেবেন। নুসরতের (Nusrat Jahan) স্পষ্ট কথা, বিশ্বাস কোনো ধর্ম বা ভাষার উপরে নির্ভর করে না। এটা মানুষের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। কোনো ট্রোলিংকেই পাত্তা দেন না তিনি। কারণ নুসরতের মতে, প্রত্যেকের নিজস্ব জীবনযাপনের ধরণ রয়েছে।
আরো পড়ুন : পুজোয় একই দিনে মুক্তি ৩ ছবির, দেব-মিঠুন নাকি আবির, কে হাসবে শেষ হাসি!
ছোটবেলার পুজোর স্মৃতি
ছোটবেলার পুজোর স্মৃতি স্মরণ করে নুসরত (Nusrat Jahan) জানান, তাঁর কনভেন্ট স্কুলে পুজোর ছুটি একটু কম পেতেন। তবে ভাই বোনদের সঙ্গে বাইকে, বাসে এলাকা ভাগ করে ঠাকুর দেখতেন। সারা রাত ঠাকুর দেখে পরের দিন বিশ্রাম নিয়ে তারপরের দিন ফের বেরিয়ে পড়তেন। এর মধ্যে আবার একটি দিন নিদিষ্ট থাকত, সেদিন নুসরতের (Nusrat Jahan) বাবা তাঁদের ঠাকুর দেখাতে নিয়ে যেতেন। অর্থাৎ ছোট থেকেই দুর্গাপুজোর সঙ্গে মধুর স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে অভিনেত্রীর।
এখন তিনি মা হয়েছেন। ছেলে ঈশানের বয়স এখন সাড়ে তিন বছর। নুসরত জানান, গত বছর ছেলেকে নিয়ে ঠাকুর দেখাতে বেরিয়েছিলেন তিনি। ঢাকের তালে নাকি একটু একটু নেচেওছে ঈশান। পুজোর মাহাত্ম্য একটু একটু করে বুঝতে শিখছে ঈশান। আবার ‘মা দুগ্গা আসছে’র মতো আধো আধো কথাও নাকি সে বলতে শিখেছে বলে জানান নুসরত।